দিনাজপুরের জেলার আশপাশের হাট-বাজারে সবজির অগ্নিমূল্যে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। টানা বর্ষণে ক্ষেতের পর ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সরবরাহ সং...
দিনাজপুরের জেলার আশপাশের হাট-বাজারে সবজির অগ্নিমূল্যে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। টানা বর্ষণে ক্ষেতের পর ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে, কিছুদিন আগেও যেখানে সবজি ছিল হাতের নাগালে, এখন তার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনগুণ পর্যন্ত।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সকালে জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজি বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, পটল ৫০ টাকায়, করলা ৮০ টাকায়, আলুর দাম দ্বিগুণ হয়ে ২০ টাকা, আর কাঁচামরিচের কেজি ২০০ টাকা, যা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পেঁয়াজ ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, শিম ২০০ টাকা, সজনে ডাঁটা ১৬০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, প্রতিটি সবজি এখন যেন আগুন ছুঁই ছুঁই।
রিকশাচালক মোরসেদুল রহমানের কণ্ঠে হাহাকার দিনে ২০০-২৫০ টাকা কামাই হয়। সংসারে ছয়জন মানুষ খাওয়াইতে হয়। এই দামে সবজি কিনে সংসার চালানো একেবারেই অসম্ভব।
ফুলবাড়ি বাজারে দিনমজুর ইয়াদুদ আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাজারে আসলেই ভয় লাগে। সব তরকারির দাম ৫০ টাকার উপরে। যে কামাই হয় তা দিয়ে সংসার চলে না।
হিলি বাজারের সবজি ব্যবসায়ী ইসতাদুল হোসেন বলেন, বর্ষায় কৃষকের ক্ষেতের সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। মোকামে পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই, আর আমদানিও কম। কিন্তু চাহিদা একই আছে, তাই দাম বাড়ছে। বর্ষা শেষ হলে উৎপাদন বাড়বে, দামও কমে যাবে।
বিরামপুর উপজেলার কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, আমার তিন বিঘা জমির সব ফসল বর্ষার পানিতে নষ্ট। যা সামান্য টিকে আছে তাই বাজারে বিক্রি করছি। দাম ভালো পেলেও এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব না।
মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম।
কোন মন্তব্য নেই