গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাহপুরে এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর র্যাবের দ্রুত পদক্ষেপে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে অপ...
গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাহপুরে এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর র্যাবের দ্রুত পদক্ষেপে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে অপহরণ মামলার প্রধান আসামি মোঃ হাবিব মিয়া (২০) গ্রেফতার হয়েছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপহরণ, হত্যা, ধর্ষণসহ গুরুতর অপরাধ দমনে বাহিনীটি সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো সংবেদনশীল অপরাধে র্যাব পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম সাদুল্লাহপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের নিয়মিত শিক্ষার্থী। গ্রেফতার হওয়া আসামি দীর্ঘদিন ধরে কলেজে যাতায়াতের সময় তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতো। প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে আসামি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে ১১ অক্টোবর ২০২৫ সকাল ৬টায় ভিকটিম বাড়ির বাইরে হাঁটতে বের হলে আসামি সহযোগীদের নিয়ে জোরপূর্বক একটি অটোরিকশায় তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা ১৫ নভেম্বর সাদুল্লাহপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধনী ২০২৫) এর ৭/৩০ ধারায় মামলা করেন।
ঘটনার পর আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। একপর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩ (গাইবান্ধা) এবং র্যাব-২ (মোহাম্মদপুর, ঢাকা)-এর যৌথ দল ১২ ডিসেম্বর দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে প্রধান আসামি হাবিব মিয়াকে গ্রেফতার এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভিকটিম ও আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাব জানায়, অপহরণসহ যে কোনো অপরাধ দমনে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম।

কোন মন্তব্য নেই