৫০ শয্যা বিশিষ্ট জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক বিশেষ করে আলট্রাসনোলজিস্ট, এ্যানেসথেসিয়া, সার্জন, গাইনোকোলজিস্ট এবং জ...
৫০ শয্যা বিশিষ্ট জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক বিশেষ করে আলট্রাসনোলজিস্ট, এ্যানেসথেসিয়া, সার্জন, গাইনোকোলজিস্ট এবং জেনারেটরের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের দায়িত্বে আছেন ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসা কর্মকর্তা। ২০০২ সালের পুরাতন একমাত্র এম্বুলেন্সটি প্রায়ই নষ্ট হয় বলে জরুরী প্রয়োজনে রোগীরা পড়েন দুর্ভোগে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক যুগ আগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ৩১ শয্যার কালাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করেন। সে সুবাদে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসকের পদ সংখ্যা হয় ২৬টি। এ পদগুলোর বিপরীতে কর্মরত থাকার কথা- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ১ জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ১জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (ইএনটি) ১জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি) ১জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থো) ১জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (পেড্রিয়াটিক) ১জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (চর্ম ও যৌন) ১জন, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ১ জন, মেডিক্যাল অফিসার ২ জন, ডেন্টাল সার্জন ১ জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু) ১জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ১জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি এন্ড অব্স) ১জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (এ্যানেসথেসিয়া) ১জন, এবং সহকারী সার্জন অথবা মেডিক্যাল অফিসার ১১জন।
ওই ২৬টি পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৩ জন চিকিৎসক। তারা হলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ১ জন, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ১জন, মেডিক্যাল অফিসার ১ জন, ডেন্টাল সার্জন ১ জন, সহকারী সার্জন অথবা মেডিক্যাল অফিসার ৯ জন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা রোগীদের প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আলট্রাসনোলজিস্ট ও এ্যানেসথেসিয়া ও সার্জনের অভাবে অপারেশন থিয়েটার অকার্যকর হয়ে পড়েছে। প্রসূতিরা স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে পাচ্ছেননা। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে করা অপারেশন করা সম্ভব হয়না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: নূর আসাদ-উজ-জামান চিকিৎসক সঙ্কটের কথা স্বীকার করে জানান, হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটর কার্যকর করা যাচ্ছেনা- আলট্রাসনোলজিস্ট, এ্যানেসথেসিয়া ও সার্জনের অভাবে। গাইনোকোলজিস্ট না থাকায়, গর্ভবতী মহিলারা স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে পারছেননা। নতুন এম্বুলেন্সের চাহিদা বারবার দেওয়ার পরও এখনো পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শূন্য পদগুলো পুরন করার জন্য ইতোমধ্যে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এটিএম সেলিম সরোয়ার/ডেইলি জয়পুরহাট
কোন মন্তব্য নেই