Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

কালাইয়ে গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে দীর্ঘসূত্রীতা, জনদুর্ভোগ

  ‘দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে’র কাজে দীর্ঘসূত্রীতার কারণে জয়পুরহাটের কালাইয়ে স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীসহ এলাকার প্রায় ১...

 


‘দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে’র কাজে দীর্ঘসূত্রীতার কারণে জয়পুরহাটের কালাইয়ে স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীসহ এলাকার প্রায় ১০ হাজার লোক চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ দুর্ভোগ নিরসনে, ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


জানা গেছে, ‘দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে’র একটি তিনতলা মার্কেটের জন্য ‘হারুঞ্জা বাজারে যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে, ১ কোটি ৭৪ লাখ ২১ হাজার ১৪২ টাকায় নওগাঁ জেলার চকবারিয়ার ‘মেসার্স মন্ডল ট্রেডার্স’ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। যার প্রতিষ্ঠান সত্তাধিকারীর নাম জাহাঙ্গীর আলম। এ কাজের জন্য আনুষ্ঠনিক শুরু হওয়ার কথা ২০২০ সালের ১৬ মার্চ। এ নির্মাণ কাজটি সম্পন্ন করার কথা ২০২১ সালের ১৫ মার্চের মধ্যে কিন্তু কাজটি ব্যাচ ঢালাইয়ের জন্য মাটি খননের মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। মাটি খননের ফলে, সৃষ্ট গর্তে বৃষ্টির পানি জমা হয়েছে। যা একটি পুকুরের আকার ধারণ করেছে। আর এ খনন কাজের মাটি স্তুপ করে রাখা হয়েছে, রাস্তার পাশে। বৃষ্টির পানিতে স্তুপ থেকে মাটি গলে গলে রাস্তায় নেমে আসছে। ফলে কাদামাটির উপর দিয়ে চলাচলে নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। একই কারণে এ প্রকল্পের নিকটবর্তী নির্মাণাধীন স্থানীয় একটি ভবনের মালিক শ্রীমতি জয়ন্তি রানী আছেন কলাম ধসে পড়ার আশঙ্কায়। এর প্রতিকার চেয়ে ইতোমধ্যে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টুকটুক তালুকদার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। প্রকল্প কাজের দীর্ঘসূত্রীতার ফলে, ভোগান্তির পাশাপাশি অতিরিক্ত টাকা গুণতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।


হারুঞ্জা গ্রামের আবুল হোসেন, আবু ইউসুফ, বুলু, হবিবরসহ অনেকের অভিযোগ, বাজারের অবকাঠামো উন্নয়নের নামে প্রায় এক বছরের মত সময় ধরে বাজারের জায়গা খনন করা হয়েছে। মাটিগুলো রাখা হয়েছে রাস্তার পাশে। যেগুলো বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে  রাস্তার উপরে কাদা জমা হচ্ছে। এ কাদার উপর দিয়ে চলাচল করতে নানা সমস্যা হয়।


হারুঞ্জা বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী শরাফত আলী ও দোলন চন্দ্র; মুদি ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা ও শহিদুল ইসলামসহ অনেকে জানান, ‘হারুঞ্জা বাজার দেশব্যাপি গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকেল্প’র কাজ শুরু হওয়ার আগে তারা সেখানে ব্যবসা করতেন। তখন হাটের ইজারাদারকে প্রতি সপ্তাহে ২০ টাকা খাজনা দিতে হতো। ওই প্রকল্প কাজের জন্য, এখন ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় ব্যবসা করতে হচ্ছে। যার জন্য দোকান ভেদে জামানত দিতে হয়েছে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। দোকান প্রতি মাসিক ভাড়া দিতে হয় ৪০০-৫০০ টাকা। ইজারাদারকেও খাজনা দিতে হয় সপ্তাহে ২০ টাকা।


এ বিষয়ে ‘মেসার্স মন্ডল ট্রেডার্স’ নামের ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠানের সত্তাধিকারীর জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ব্যবহার করে কাজটি পেয়েছেন জয়পুরহাটের বুম্বু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যাান বাদশার ছেলে। তাই এ বিষয়ে তিনিই ভালো বলতে পারবেন।


এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, কাজটির টেন্ডার করা হয়েছে ‘এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে। তাই এ বিষয়ে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ভালো জানেন। তার কার্যালয় থেকে শুধু কাজটি দেখভাল করা হচ্ছে।


কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টুকটুক তালুকদার জানান, ভবনের মালিক  শ্রীমতি জয়ন্তি রানী   নির্মাণাধীন কলাম ধসে পড়ার আশঙ্কায় একটি লিখিত অভিযোগের বিষয়টি তার অজানা। তবে, অভিযোগ পেলে, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এটিএম সেলিম সরোয়ার/ডেইলি জয়পুরহাট


কোন মন্তব্য নেই

Ads Place