জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে মামুনুর রশিদ মোহন (৪৭) নামের এক বাক প্রতিবন্ধি যুবককে কোমরে দঁড়ি বাবা-ছেলে মিলে শারিরিক নির্য...
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে মামুনুর রশিদ মোহন (৪৭) নামের এক বাক প্রতিবন্ধি যুবককে কোমরে দঁড়ি বাবা-ছেলে মিলে শারিরিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের রতনপুর (নদীপাড়) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী মোহন ন্যায় বিচারের আশায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের রতনপুর (নদীপাড়) গ্রামের বাবুলের একটি বাটন মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। ঘটনার দিন প্রতিবন্ধী মোহন ঐ পথ দিয়ে যাওয়ার সময় সন্দেহ বশত বাবুল ও তার ছেলে নাজমুল মোহন ধরে হাত পায়ে দড়ি বেঁধে আটকে রাখে এবং শারিরিক নির্যাতন করে। প্রতিবন্ধী ছেলেকে অমানবিক নির্যাতনে এলাকার সবাই এগিয়ে আসে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে গেলে রামভদ্রপুর চৌমুহনী বাজারের চা দোকানদার বাবু, এলাকার আরিফুল ও আব্দুর রহমান বলেন, আজাহার হামিদার প্রতিবন্ধী একটি ছেলে হারিয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৫-১৬ বছর আগে প্রতিবন্ধী মোহন এই এলাকায় এসে ঘোরাফেরা করলে নিজের সন্তানের কথা মনে করে হামিদা তাকে লালন-পালন করেন। মোহন প্রতিবন্ধী হলেও সবার কথা শুনতো এজন্য সবাই তাকে ভালবাসে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাবুল বলেন, আমার একটি বাটন ফোন সে চুরি করেছে ফেরতের জন্য কোমরে দড়ি বেঁধে রেখে ছিলাম। তিনি আরো বলেন, আমি একটা চড় মেরেছি কিন্তু ছেলে নাজমুল হয়ত একটু মেরেছে।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ নিয়ামুল হক বলেন, প্রতিবন্ধী আর ছেলেকে মোবাইল চোরের অপরাধে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাবুল হোসেন।

কোন মন্তব্য নেই