ঢাকা থেকে এলাকায় ফেরার পথে জয়পুরহাট-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদ রানা প্রধানকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ব...
ঢাকা থেকে এলাকায় ফেরার পথে জয়পুরহাট-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদ রানা প্রধানকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে জয়পুরহাট-মোকামতলা আঞ্চলিক মহাসড়কের কালাই উপজেলার বাঁশের ব্রিজ এলাকায় তাকে বরণ করেন জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, মনোনয়ন ঘোষণার সময় মাসুদ রানা প্রধান ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি জয়পুরহাটের উদ্দেশে রওনা দেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি বাঁশের ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেনের নেতৃত্বে হাজারো নেতাকর্মী ফুলেল মালা পরিয়ে তাকে বরণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ ওয়াহাব, সদর থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. হেনা কবির, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, জয়পুরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি আমিনুর রহমান বকুল, সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান মোহাম্মদ উজ্জ্বল, জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব এটিএম শাহ নেওয়াজ কবির শুভ্র প্রমুখ।
নেতাকর্মীরা প্রায় ১ হাজার মোটরসাইকেল, ২০টির বেশি মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের বিশাল বহর নিয়ে মাসুদ রানা প্রধান জয়পুরহাট শহরের উদ্দেশে রওনা দেন। তার গাড়িবহর জয়পুরহাটে প্রবেশ করলে বিভিন্ন স্থানে দলীয় নেতাকর্মীরা স্লোগান ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
দলীয় নেতারা বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম মোজাহার আলী প্রধানের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে মাসুদ রানা প্রধানের প্রতি দলের নেতাকর্মীরা আস্থাশীল ও উদ্দীপ্ত। আমাদের সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে, দলীয় গ্রুপিং না করে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় মনোনীত প্রার্থীকে জয়যুক্ত করার জন্য নির্বাচনী মাঠে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে।
মাসুদ রানা প্রধান জয়পুরহাটে প্রবেশের পর নেতাকর্মীদের নিয়ে জেলা শহরের শহীদ ডা. আবুল কাসেম ময়দানে যান এবং সেখানে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, প্রয়াত এমপি মোজাহার আলী প্রধান, জুলাই আন্দোলনে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
আবেগঘন কণ্ঠে মাসুদ রানা প্রধান বলেন, আমি অনেক জায়গায় বক্তব্য দিতে গিয়ে অনেক কথা বলেছি। যদি কোথাও ভুল-ক্রুটি হয়ে থাকে তাহলে আপনারা ক্ষমা করে দেবেন। গত ১৭ বছর অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমার বাবা হজ করতে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে কারাগারে বন্দি করা হয়েছিল। অনেক কষ্ট, অনেক দুঃখ। ওই সময়ে আমরা অনেক ভাইকে হারিয়েছি, অনেক ভাই পঙ্গু হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে বলতে চাই, এই জয়পুরহাটকে শান্তির জয়পুরহাট করতে চাই। এরজন্য সহযোগিতা চাই। কোনো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি চাই না। চাঁদাবাজির কোনো স্থান বিএনপিতে দেব না, ইনশাল্লাহ্। আজকে আপনারা যে ভালোবাসা দিয়েছেন, এই ভালোবাসার যোগ্য হয়তো আমি নই। এই ঋণ সর্বোচ্চটা দিয়ে শোধ করার চেষ্টা করবো। আমি জয়পুরহাটবাসীর উন্নয়ন করতে চাই, কাজ করতে চাই। জয়পুরহাটকে শান্তির আবাস করতে চাই।
চম্পক কুমার।

কোন মন্তব্য নেই