দিনাজপুরের হিলি বন্দর বাজারে তিনদিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত। পাইকারিতে যেখানে তিনদিন আগেও পেঁয়াজ বিক্...
দিনাজপুরের হিলি বন্দর বাজারে তিনদিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত। পাইকারিতে যেখানে তিনদিন আগেও পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫ টাকা কেজি দরে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। আর খুচরা বাজারে ৭০ টাকার পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির হঠাৎ দাম বৃদ্ধি নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস ফেলে দিয়েছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, হঠাৎ এই মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই বিপাকে পড়েছেন।
স্থানীয় গৃহিণী রাইজুন বেওয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুইদিন আগেও ৭০ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছি। আজ এসে দেখি ৯০ টাকা চাচ্ছে দোকানিরা। প্রতিদিনই নতুন দাম শুনতে হয়, এতে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। দুইদিনের ব্যবধানেই ২০ টাকা বেড়ে যাওয়া কোনোভাবে ন্যায্য নয়।
দিনমজুর আলী হোসেন বলেন, বাংলাদেশে কোনো কিছুর নিয়ম নেই। আমরা গরিব মানুষ, বাজারে এলেই মাথা ঘুরে যায়। কয়েকদিন আগেও ৬০ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছিলাম, আজ তা ৯০ টাকা কেজি। এইভাবে চলতে থাকলে আমরা কীভাবে বাঁচবো?
হিলি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী বিপ্লব হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পাইকারিতে দাম বেড়ে গেছে। এখন আমরা ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে কিনে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। দাম বেশি থাকায় বিক্রিও কমে গেছে।
এদিকে, হিলি বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, দেশের যেসব মোকামে পেঁয়াজ আসে, সেখানেই এখন সরবরাহ কম। ভারত থেকেও আমদানি অনেক কমে গেছে। এই ঘাটতির কারণে দাম বাড়ছে। নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারে উঠলে দাম কমে আসবে। আর সরকার যদি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়, তাহলে দ্রুতই বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
বাজার কমিটিররা বলছেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এবং অভ্যন্তরীণ মোকামগুলোতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় এই অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব পড়ছে সবচেয়ে বেশি নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর ওপর।
মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম।

কোন মন্তব্য নেই