জয়পুরহাটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়কারীর সাথে ওই দলের এক সমর্থকের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি শান্ত...
জয়পুরহাটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়কারীর সাথে ওই দলের এক সমর্থকের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে বিএনপির এক নেতাকে ধাক্কা মারা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থানায় তিনপক্ষকে ডেকে নিয়ে মিমাংসা করলেও ক্ষোভ কমেনি, ক্ষোভ দেখানো হয়েছে পুলিশের উপরও। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাত সাড়ে নয়টার দিকে পাঁচুরমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানাসুত্রে সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ আগস্ট ঢাকায় এনসিপির সমাবেশে ওই দলের সমর্থক নুরুল আমিন সাবু ১৯ জন লোক নিয়ে যান। ওই সমাবেশে যাওয়া এবং খাওয়া বাবদ দলের কেন্দ্র থেকে একটা বরাদ্দ ছিল। সাবুর সাথে যাওয়া লোকজনের যা প্রাপ্য ছিল, তা দেওয়া হয়নি। এনিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নুরুল আমিন সাবু এবং দলটির জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ফিরোজ আলমগীরের সাথে ফোনে কথা হয় এক পর্যায়ে এনসিপি নেতা ফিরোজ ঘটনাস্থলে কর্মীদের সাথে নিয়ে এসে সমর্থক সাবুকে চর থাপ্পর মারতে থাকে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে জয়পুরহাট পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মতিউর রহমান তাদের শান্ত করতে যান। সেসময় মতিয়রকে এনসিপি নেতারা ধাক্কা মারে। এরপর সেখানে থাকা বিএনপি সমর্থক ও মতিয়রের পরিচিত লোকজন এগিয়ে এসে এনসিপি নেতা ফিরোজ আলমসহ তার কয়েকজন সহযোগীকে মারধর করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এনসিপি সদস্য নুরুল আমিন সাবু বলেন, আমার ১৯ জন লোক ঢাকায় গিয়েছিল। তাদের টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেওয়া হয়নি। এটি নিয়ে ফিরোজ আলমগীরের সাথে আমার ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তিনি আমার অবস্থান জানতে চেয়ে লোকজন নিয়ে চলে আসেন। আমার পাঞ্জাবির কলার ধরে টান দেন এবং ধাক্কাধাক্কি করেন । এটি দেখে বিএনপির একজন নেতা সেখানে আসেন। পরে তার সাথে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
বিএনপি নেতা মতিয়ার রহমান বলেন, এনসিপি-এনসিপির মধ্যে ঝামেলা হচ্ছে, এমনকি মারামারি হচ্ছিল। সেটি দেখে আমি তাদের নিষেধ করতে যাই। কিন্তু তারা আমার শরীরে হাত তোলেন। তারা পাবলিক প্লেসে মারামারি করছিল বলে নিষেধ করতে গিয়েছিলাম। পরে থানায় বসে বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে।
জানতে চাইলে এনসিপির জেলার প্রধান সমন্বয়কারী ফিরোজ আলমগীর বলেন, আমাদের দলের বিষয়ে কথা চলছিল। তখন বিএনপির লোকজন এসে মারধর করেন। আমরা চাঁদাবাজি করছি বলে অভিযোগ তুলে আমাদের মারধর করে।
এ ব্যাপারে জয়পুরহাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নাজমুল কাদের বলেন, প্রথমে এনসিপি-এনসিপি, পরে বিএনপি জড়িয়ে পড়েন। ঘটনার পর সকলকে নিয়ে থানায় বসে আপোষ করা হয়েছে। তবে পুলিশের উপরেও এনসিপি নেতারা ক্ষোভ দেখিয়েছে বলে জানান তিনি।
মাহফুজ রহমান।
কোন মন্তব্য নেই