জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে জ্বলন্ত অবস্থায় উদ্ধার মরদেহের পরিচয় মিলেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আক্কেলপুর-তিলকপুর সড়কের কাদোয়া বটতলী নামক স্থ...
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে জ্বলন্ত অবস্থায় উদ্ধার মরদেহের পরিচয় মিলেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আক্কেলপুর-তিলকপুর সড়কের কাদোয়া বটতলী নামক স্থানের নির্জন একটি কলাবাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, নিহতের নাম ছামছুল আলী খলিফা (৫৭)। তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার শৈলগাছী উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত উম্মুর খলিফার ছেলে। মরদেহটির কাছে পাওয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্র ধরে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।
পুলিশ আরও জানায়, রাতেই নিহতের ছোট ভাই মুজাহিদ খলিফা ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি শনাক্ত করেছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ জানায়, কলাবাগানটি আহসান হাবিব নামে এক ব্যক্তির। তিনি নওগাঁয় বসবাস করেন। বিষ্ণপুর গ্রামের বিকাশ দেবনাথ জায়গাটি লিজ নিয়ে ওই জমিতে কলা চাষ করছেন। বিকাশ রাত পৌনে নয়টার দিকে কলাবাগানের পাশে পুকুরে মাছের খাবার দিতে এসে বাগানের ভেতর আগুন দেখতে পান। এসময় তিনি ওই আগুনে মানুষকে পুড়তে দেখেন। দ্রুত পাশের গ্রামে থেকে লোকজনদের ডেকে এনে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। তখন আগুনের স্তূপ থেকে অর্ধ পোড়া অবস্থায় মরদেহে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন তারা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রাতে আড়াইটার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ছামছুল আলী খলিফার সঙ্গে তার স্ত্রী রশিদা এবং ছেলে রাসেল খলিফার প্রায়ই পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। মাঝে মধ্যে তারা ছামছুলকে মারধরও করত। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকায় বিচার করে সুরাহা না হওয়াই গত কয়েকেদিন আগে নওগাঁ সদর থানায় স্ত্রী ও ছেলে বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন ছামছুল। এরপর মঙ্গলবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ছামছুল। পরে ওই দিন গভীর রাতে নওগাঁ সদর থানার মাধ্যমে খবর পেয়ে স্বজনরা ঘটনাস্থলে মরদেহটি শনাক্ত করে।
নিহতের ভাই মুজাহিদ খলিফা বলেন, মঙ্গলবার দুপুর থেকে আমার ভাই নিখোঁজ ছিল। পরে রাতে নওগাঁ সদর থানার মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করেছি। পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্ত্রী ও সন্তানই তাকে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে আমার ভাতিজা ফোন বন্ধ করে পালিয়েছে। আমি ভাই হত্যার বিচার চাই।
আক্কেলপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আগুনে মরদেহের মাথা ও শরীরের অর্ধেক পুড়ে গেছে। অন্য কোথাও হত্যার পর মরদেহ এখানে এনে পোড়ানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মওদুদ আহমেদ।
কোন মন্তব্য নেই