Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

হিলিতে চিকিৎসককে পেটালেন সেচ্ছাসেবক দলের নেতা

দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মশিউর রহমানকে মারধর সহ মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর সেচ্ছা...

দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মশিউর রহমানকে মারধর সহ মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মামুন এর বিরুদ্ধে। বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক বলছেন উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি। এবিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন। পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিবো, বলেছেন থানা পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত অবস্থায় মেডিকেল অফিসার মশিউর রহমানের উপর হামলা চালায় পৌর সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মামুন সহ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ মশিউর রহমান বলেন, হাসপাতালে ফারুক ও তার স্ত্রী তারা ১২ থেকে ১৩ দিন ধরে ভর্তি ছিলেন। তাদের সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, এখন তারা সুস্থ। তাদের আজকে রিলিজ দিতে চেয়েছি, কিন্তু তারা রিলিজ নিতে চান না। এখন রোগী সুস্থ, কেন রিলিজ নিবে না? এই বিষয় নিয়ে তাদের সাথে আমার বাকবিতন্ডায় হয়। একপর্যায়ে আমি জরুরি বিভাগে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে কর্তব্যরত ছিলাম। এসময় বিএনপি'র সেচ্ছাসেবক দলের নেতা মামুনসহ ১০ থেকে ১২ জন এসে আমার উপর আক্রমণ করে। মামুন আমার মুখে কিল-ঘুষি মারে এবং সবাই আমার গলা চেপে ধরে বাহিরে নিয়ে যায়। আমার মোবাইল ফোনটিও তারা কেড়ে নেয়। পর আমার হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীরা আমাকে তাদের নিকট থেকে উদ্ধার করে।

হাকিমপুর পৌর সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মামুন বলেন, ডাক্তার আমাকে ধাক্কা দেয়, তখন এই ঘটনা ঘটে। তবে আমি তাকে মারিনি, আমার সাথের লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে। উনার মোবাইল ফোন তখনি ফেরত দেওয়া হয়েছে। 

হাকিমপুর উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি ফেরদৌস রহমান বলেন, হাসপাতালের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক। আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। অভিযুক্ত মামুনকে ডাক্তারদের সামনে মারধর করেছি। বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে। 

হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন, আজ জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মশিউর রহমানকে মারধর সহ লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এটা আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য লজ্জাজনক। এভাবে হাসপাতালে এসে একজন চিকিৎসককে কোন ভাবেই মারধর করতে পারে না। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। তারা অবশ্যই এবিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহন করবেন। আমরা হাকিমপুর থানাকে অবগত করেছিলাম, পুলিশ হাসপাতালে এসে সব বিষয় জেনে গেছে।

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ওসি (তদন্ত) এসএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাসপাতালের ঘটনাটি অবগত হয়েছি। হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো।

এবিষয়ে দিনাজপুর সিভিল সার্জন ড. মোঃ আসিফ ফেরদৌস বলেন, হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মশিউর রহমানের উপর হামলার বিষয়টি জেনেছি। তাদের যদি কোন অভিযোগ থাকে তাহলে আমাদের নিকট অভিযোগ করতো। সেটি না করে একজন কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধর করলো। তারা একজনের গায়ে হাত তুলতে পারে না। বিষয়টি উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করেছে। তবে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় যাবো।

মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম।

 

কোন মন্তব্য নেই

Ads Place