জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে এক কিশোরীকে ( ১৭) ধর্ষণ ও ভিডিও চিত্র ধারন করার অভিযোগ উঠেছে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আতাউর রহমানে...
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে এক কিশোরীকে ( ১৭) ধর্ষণ ও ভিডিও চিত্র ধারন করার অভিযোগ উঠেছে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে। শনিবার (১২ জুলাই) কিশোরীর পিতা আরমান মন্ডল তিন জনের নাম উল্লেখ করে পাঁচবিবি থানায় ধর্ষন ও পর্ণোগ্রাফি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ১৬/২৫।
পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ ময়নুল হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলার ২ নং আসামী সালমা বেগম (৩৫) নামের এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের কুটুহারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সালমা বেগম ঐ গ্রামের মোঃ নয়ন উদ্দিন ওরফে নুর মোহাম্মদ বিপ্লবের স্ত্রী । অন্য পলাতক আসামীরা হলেন, উপজেলার পশ্চিম রামচন্দ্র গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের পুত্র কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আতাউর রহমান, ও কুটুহারা গ্রামের মৃত মোফাজ্জলের পুত্র নয়ন উদ্দিন ওরফে নুর মোহাম্মদ বিপ্লব (৪৫)।
এলাকাবাসী ও মামলা বিবরণে জানা যায়, আতাউর রহমান এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার সহযোগী হিসাবে বিভিন্ন জায়গায় মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে নয়ন ও তার স্ত্রী সালমা বেগম।
গত দুই মাস পূর্বে সালমা বেগম প্রতিবেশি আরমান মন্ডলের কিশোরী মেয়ে (১৭) কে নিজ বাড়ীতে কৌশলে ডেকে নেশা জাতীয় দ্রব্য মেশানো ঝালমুড়ি খেতে দেয়। এতে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়ে। এই সুযোগে নয়ন ও তার স্ত্রী সালমা বেগম পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ঘরে থাকা আসামী আতাউর রহমানের নিকট তাকে রেখে বাড়ীর মূল ফটকে তালা দিয়ে সরে পড়েন। এ সুযোগে আতাউর কিশোরীকে ঘরের মধ্যে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং সেই ধর্ষণের ভিডিও নিজ মোবাইলে ধারণ করে।
এ ঘটনার পর আতাউর মোবাইলে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও চিত্র প্রকাশের হুমকি দিয়ে কিশোরীকে আরো একাধিকবার ধর্ষণ করে।
ঘটনার দিন শুক্রবার (১১জুলাই) সকালে আবারও নয়ন ও তার স্ত্রী সালমা বেগম কিশোরী কে তাদের বাড়ীতে ডেকে নিয়ে পূর্ব থেকে থাকা আতাউর রহমানের ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাহিরে থেকে ছিটকানি লাগিয়ে দেন। এসময় কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করতে থাকলে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। এসময় সুযোগ বুঝে আতাউর রহমান সটকে পড়েন ।
এ বিষয়ে পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ ময়নুল হোসেন বলেন, ভিকটিমের পিতা বাদী থানায় মামলা করেছেন। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।
বাবুল হোসেন।
কোন মন্তব্য নেই