র্যাব-৫, জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর দলবেঁধে ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত আসামী রেজাউল করিম রেজাকে গ্রেপ্তার করেছে। গত রোব...
র্যাব-৫, জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর দলবেঁধে ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত আসামী রেজাউল করিম রেজাকে গ্রেপ্তার করেছে। গত রোববার বিকেলে তাঁকে ঢাকার খিলগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ওই দিন রাতে তাঁকে জিডি মূলে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানায় হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে র্যাব-৫ ক্যাম্প থেকে পাঠানো একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের ভরপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ রানা জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রোববার বিকেলে তাঁকে ঢাকার খিলগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি একটি চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত আসামী। সেই গণধর্ষণ মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ হলো- গত ১৪ অক্টোবর ২০২২ তারিখ সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ওই মামলার ভিকটিম জেলার পাঁচবিবি উপজেলার অন্তর্গত বটতলী বাজার থেকে খাবারের আটা নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে রাস্তার পাশের একটি ধানক্ষেতের ডিপ টিউবওয়েলের ঘরে নিয়ে যান। সেখানে ভিকটিমের ইচ্ছের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত রেজাউল করিম রেজা ও কামরুজ্জামান দলবেঁধে তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সে সময় অভিযুক্ত জুয়েল রানা তাঁর মোবাইলে ধর্ষণের ছবি ধারণ করেন। সেই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে জুয়েল রানাও ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার অভিযুক্ত ওই ৩ জন ধর্ষকের বিরুদ্ধে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা তথ্য, প্রযুক্তি ও লোকাল সোর্সের তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধীর অবস্থান সনাক্ত করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে ঢাকার খিলগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে জিডি মূলে পাঁচবিবি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত একজন আসামীকে র্যাব-৫, গ্রেপ্তার করে রোববার রাতে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। আমরা সোমবার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছি।
মো. আতাউর রহমান।
কোন মন্তব্য নেই