জয়পুরহাটে ভেজাল সার ও কীটনাশক উৎপাদন ও বিপননের অপরাধে 'ক্রপটেক বাংলাদেশ লিমিটেড' নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে...
জয়পুরহাটে ভেজাল সার ও কীটনাশক উৎপাদন ও বিপননের অপরাধে 'ক্রপটেক বাংলাদেশ লিমিটেড' নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। মঙ্গলবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এ অর্থদণ্ড দেন আদালতের বিচারক ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জয়পুরহাটের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী।
এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ রানা প্রমুখ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, 'ক্রপটেক বাংলাদেশ লিমিটেডে'র কৃষি পণ্য উৎপাদনের লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোম্পানীর এমডি কামাল উদ্দীন কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখেন। কিন্তু কোম্পানীর চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম অবৈধভাবে কৃষি পণ্য উৎপাদন করে আসছিলেন। এরপরে অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পণ্যের লাইসেন্স নবায়ন না করা পর্যন্ত ওই কারখানায় উৎপাদন বন্ধের মৌখিক নির্দেশ দেন। কিন্তু 'ক্রপটেক বাংলাদেশ লিমিটেডে'র চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম ওই আদেশ অমান্য করেন। আর ভেজাল কৃষি পণ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখেন। ওই কোম্পানীর এমডি কামাল উদ্দীনের অভিযোগও এমন। বিষয়টি র্যাবের নজরে আসলে, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জয়পুরহাটের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী বলেন, আমরা ও র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে 'ক্রপটেক বাংলাদেশ লিমিটেড' নামে এক কৃষি পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিকে ভেজাল সার তৈরীর অভিযোগ ও দৃশ্যমান কিছু অপরাধের কারনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য কিছু স্যাম্পল পণ্য সংগ্রহ করেছি। এসব পণ্য পরীক্ষা করে ভেজাল প্রমাণিত হলে, সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
মো. আতাউর রহমান।
কোন মন্তব্য নেই