Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

জয়পুরহাটে ৭২ ফুট ঢাল বেয়ে ডিঙিতে নদী পার শিক্ষার্থীর

নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে ওঠা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে যাতায়াত করতে হয় ডিঙিতে । মাঝেমধ্যে নৌকা থেকে পড়ে যায় দু - একজন শিক্ষার্থী। ত...

নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে ওঠা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে যাতায়াত করতে হয় ডিঙিতে । মাঝেমধ্যে নৌকা থেকে পড়ে যায় দু - একজন শিক্ষার্থী। তখন পোশাক- আশাকের সঙ্গে ভিজে যায় বই -খাতাও । 

বলা হচ্ছে , জয়পুরহাট সদর উপজেলার মুরারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির কথা । তুলসীগঙ্গা নদীর কোল ঘেঁষে ১৯৭০ ) সালে সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নের মুরারীপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি । 

বিদ্যালয়টিতে আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে পড়তে আসে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা । কিন্তু নদীর ওপর কোনো সেতু না থাকায় বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা নিয়েই ডিঙিতে বিদ্যালয়টিতে যাতায়াত করে । 

জানা গেছে , নদীটির গভীরতা সমতল ভূমি থেকে প্রায় ৭২ ফুট । সড়কপথে নদীর একপাশ থেকে আরেক পাশে যেতে ঘুরতে হয় প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ । সেই পথও বেহাল । তাই সেই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা । কিন্তু ডিঙিতে যাওয়া যায় পাঁচ মিনিটেই । তাই সময় আর দূরত্ব কমাতে , চরম ঝুঁকি নিয়ে নদীপথেই বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে শিক্ষার্থীরা ।

একসময় এ বিদ্যালয়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপাড়া করত। কিন্তু যাতায়াতের অসুবিধার জন্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। এখন শিক্ষার্থী আছে ১৬০ জন । একটি সেতুর অভাবে শুধু শিক্ষার্থীরাই নয় , আশপাশের আমদই ও পুরানাপৈল ইউনিয়নের ৮ গ্রামের হাজারো মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নিত্যদিন ।

ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু হোসেন বলে , “ আমার বাড়ি তুলসীগঙ্গা নদীর ওই পাড়ে গোবিন্দপুর গ্রামে । বর্ষাকালে নদীপথেই বিদ্যালয়ে যাতায়াত করি আমরা । বৃষ্টির সময় নদীর পাড় পিচ্ছিল থাকে । তাই নৌকায় ওঠানামা গিয়ে অনেকেই পা পিছলে পড়ে যাই । কখনোবা নৌকা থেকেও পড়ে যায় কেউ কেউ। তখন বই খাতাও নদীর পানিতে পড়ে ভিজে যায় ।"

বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক তৌহিদুল ইসলাম বলেন , ‘ এলাকার শিক্ষা ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে ওই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাই ।'

 আরেক অভিভাবক মোহসিনা বেগম বলেন , "আমাদের ছেলে - মেয়েরা যেকোনো সময় নদীতে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা থাকে । তাই আতঙ্কে ও দুশ্চিন্তায় থাকি । অথচ এখানে একটি সেতু থাকলে , আমাদের কোনো কষ্টই থাকত না । "

 ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রণব চন্দ্র মণ্ডল বলেন , “ এই স্কুলের বড় সমস্যা নদীপথ। আমি ২০১৫ সালে এ বিদ্যালয়ে যোগদান করি। তখন শিক্ষার্থী ছিল ২১২ জন। কিন্তু যোগাযোগব্যবস্থা খারাপ ; শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। কোমলমতি শিক্ষার্থী , শিক্ষা এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে বিদ্যালয়ের অদূরে তুলসীগঙ্গা নদীর ওপরে একটি সেতু নির্মাণ করা আবশ্যক বলে মনে করি ।"

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো . আলাউদ্দিন হোসেন বলেন , " ওই বিদ্যালয় সংলগ্ন নদীর ওপরে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে তাগাদা পেয়েছি । প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করেছি। ” 

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সামছুল আলম বলেন , "যেকোনো সিস্টেমে আগামী অর্থবছরের মধ্যেই ওই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের চেষ্টা করব । ”

আতাউর রহমান।



কোন মন্তব্য নেই

Ads Place