Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

অনাবৃষ্টিতে বাড়াবে আমন চাষে খরচ

শ্রাবণেও দেখা নেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির এরই মধ্যে আমনের চারার বয়স পেরিয়ে গেছে । দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে আমনের জমি শুকিয়ে গেছে । পানি না থাক...

শ্রাবণেও দেখা নেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির এরই মধ্যে আমনের চারার বয়স পেরিয়ে গেছে । দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে আমনের জমি শুকিয়ে গেছে । পানি না থাকায় কৃষকেরা সেচযন্ত্র দিয়ে জমি তৈরি করছেন । কেউবা সম্পূরক সেচের ব্যবস্থা করেছেন । এতে আমন চাষে খরচ বাড়বে বলে মনে করছে , জয়পুরহাটের কৃষক ও কৃষি বিভাগ। জেলার কৃষকেরা মোট লক্ষ্যমাত্রার মাত্র শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ জমিতে আমন রোপণ করেছেন বলে জানা গেছে । 

সদর উপজেলার কড়ই গ্রামের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন বলেন , ‘ খরায় পুড়ছে মাঠ । পুড়ছে আমনের বীজতলা । কারণ পুকুর থেকে পানি তুলতে দিচ্ছে না মাছচাষিরা। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি না হলে অন্য দশজন কৃষক যা করবেন , আমিও তা - ই করব । ' 

সদর উপজেলার কোমরগ্রাম পশ্চিমপাড়ার কৃষক আব্দুল ওয়াজেদ বলেন , ধানের চারা রোপণের বয়স পেরিয়ে গেছে। বয়স হয়েছে ৩০-৩৫ দিন। অথচ ২০-২৫ দিন বয়সের চারা লাগানোই উত্তম । বৃষ্টি হলে এত দিনে জমি লাগানো প্রায় শেষ হয়ে যেত। ধানের গাছ শ্যামল বর্ণ ধারণ করত ।

একই গ্রামের কৃষক আব্দুল বাসার বলেন , ' বৃষ্টির অভাবে ধানের চারা এবং গছি মরতে বসেছে । চারা গাছ বাদামি বর্ণ ধারণ করেছে । এ অবস্থায় ২০ টাকা শতক হারে প্রতি শতক ধানের বীজতলা সেচ দিয়ে কোনো রকমে সেগুলো বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে । মনে হচ্ছে ধানের চারা লাগানোর জন্য বিঘাপ্রতি ৩০০ টাকা অতিরিক্ত খরচ করে জমিতে সেচ দিতে হবে । ' 

সদর উপজেলার রাংতাগুয়াবাড়ি গ্রামের কৃষক কামাল উদ্দিন বলেন ,“ আমি নিজের সেচযন্ত্র চালু করে ছয় বিঘা জমিতে স্বর্ণা -৫ জাতের ধানের চারা রোপণ করেছি । অনেক কৃষক 800 টাকা বিঘা হারে আমার কাছ থেকে পানি কিনে নিয়ে জমি চাষ ও  ধানের চারা রোপণ করেছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জুয়েল রানা জানান , জয়পুরহাট জেলায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে হাইব্রিড , উফশী এবং স্থানীয় জাতের ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি । এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭ হাজার ৫০ হেক্টর আমনের চারা লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । এ পর্যন্ত জেলার কৃষকেরা মোট লক্ষ্যমাত্রার মাত্র শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ জমিতে রোপণ করতে পেরেছেন। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মো . শহিদুল ইসলাম বলেন , গত এক সপ্তাহে এ জেলায় সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অনাবৃষ্টি ও তীব্র দাবদাহে আমনের জমি শুকিয়ে গেছে । ফলে আমন আবাদ তেমন শুরু হয়নি। যদি বৃষ্টি না হয় , তাহলে সম্পূরক সেচব্যবস্থায় জমিতে পানি দিতে হবে । 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান , লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে জেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে । তবে তা পর্যাপ্ত নয় । প্রকৃতিতে যে অবস্থা বিরাজ করছে , তাতে এ মুহূর্তে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও কম । তাই বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত কৃষক ভাইদের সম্পূরক সেচের মাধ্যম আমনের চারা লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।


মো. আতাউর রহমান।



কোন মন্তব্য নেই

Ads Place