Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

জয়পুরহাটে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ ও মোনাজাত

প্রচণ্ড তাপদাহ এবং খরা থেকে মুক্তি ও অনাবৃষ্টির কবল থেকে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি লাভের আশায় জয়পুরহাটের ধর্মপ্রাণ দুরাকাত ইসতিস্কার নামাজ আদায় ...

প্রচণ্ড তাপদাহ এবং খরা থেকে মুক্তি ও অনাবৃষ্টির কবল থেকে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি লাভের আশায় জয়পুরহাটের ধর্মপ্রাণ দুরাকাত ইসতিস্কার নামাজ আদায় শেষে বিশেষ মোনাজাত করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে হিচমী ঈদগা মাঠে ওই নামাজ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। 

ইসতিস্কার ওই নামাজে ইমামতি করেন জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল কালাম শরীফ উদ্দীন। ওই বিশেষ নামাজে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার অন্তত এক হাজার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। 

নামাজ আদায়কারী মাওলানা সাইদুর রহমান বলেন, 'ভরা বর্ষা মৌসুমেও কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ায়, তাপদাহে পুড়ছে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা জয়পুরহাট। গরমে একদিকে যেমন অতিষ্ট মানুষের জীবন, অন্যদিকে তেমনই  ফসল ফলাতেও পারছিনা আমরা। তাই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই আমরা এ বিশেষ নামাজ ও মোনাজাতে অংশ গ্রহণ করেছি।

কৃষক মোস্তাকীম বিল্লাহ্ বলেন, ‘ শোনার শাওন মাসে মাঠঘাট বর্ষার পানিতে থৈথৈ করে। অথচ এ বছর আষাঢ় গেল শাওন এলো বৃষ্টির দেখা নেই। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে আমনের আবাদ নিয়ে আমরা চরম দুশ্চিন্তায় আছি। আমরা কী পাপ করেছি জানিনা। শুধু জানি, পাপ থেকে মুক্তি পেতে এবং আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি লাভের আশায় আমরা এই বিশেষ নামাজ ও মোনাজাতে শরীক হয়েছি। আমাদের বিশ্বাস, মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে ক্ষমা করেন। আর এই প্রচণ্ড খরা ও অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষা করেন। কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি দিয়ে তিনি জমিনকে সুশীতল করকেন।

বিশেষ নামাজের ইমাম ও জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল কালাম শরীফ উদ্দীন বলেন, 'প্রকৃতিতে যে খরা ও অনাবৃষ্টি চলছে, তা থেকে মুক্তি দিয়ে প্রকৃতিকে শীতল, সুজলা ও সুফলা করতে পারেন একমাত্র আল্লাহ্। তাই বৃষ্টির জন্য আমরা তাঁরই কাছে নতজানু হয়েছি। বিশেষ নামাজ ও মোনাজাত করেছি। নিশ্চয় তিনি আমাদের নিরাশ করবেননা। তাঁর রহমত থেকে বঞ্চিত করবেন না।'

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত  উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. মজিবুর রহমান  বলেন, 'এ মৌসুমে ৬৯ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রচণ্ড খরার কারণে এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেচযন্ত্র চালু করে ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে  আমন ধানের চারা লাগানো হয়েছে।'

মো. আতাউর রহমান।



কোন মন্তব্য নেই

Ads Place