Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

মহাস্থানগড় খননে মিলেছে গুপ্ত যুগের প্রত্ন নিদর্শন

প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের ইতিহাস ও ঐহিত্যসমৃদ্ধ বগুড়ার মহাস্থানগড়ের বৈরাগী ভিটা খননে পাওয়া গেছে গুপ্ত যুগের নিদর্শন। মিলেছে গুপ্ত যুগের একটি...

প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের ইতিহাস ও ঐহিত্যসমৃদ্ধ বগুড়ার মহাস্থানগড়ের বৈরাগী ভিটা খননে পাওয়া গেছে গুপ্ত যুগের নিদর্শন। মিলেছে গুপ্ত যুগের একটি বৌদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ স্তূপের ধ্বংসাবশেষ, এর সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে প্রাচীন লিপিখচিত সিল, প্রত্নযুগের টেরাকোটা, কালো চকচকে ভগ্ন মৃৎ পাত্র, অলংকৃত ইট, পোড়া মাটির তৈরি মানবমূর্তি, পোড়া মাটির খেলনার ভগ্নাংশ, তৈজসপত্রের ভগ্নাংশ, পোড়া মাটির পাখি, প্রদীপ, কালির দোয়াত, পাথরের গুটিকাসহ বিভিন্ন প্রত্নসামগ্রী। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ধারণা খননে পাওয়া অংশগুলোর সঙ্গে গুপ্ত যুগের মিল রয়েছে।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বগুড়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. নাহিদ সুলতানা জানান, খননকাজ চলমান রয়েছে। এবার খননকাজে যা পাওয়া গেছে তা হলো চারটি স্তূপ চারপাশে, স্তূপকে ঘিরে বাউন্ডারি রয়েছে। যা একটি বৌদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ স্তূপের ধ্বংসাবশেষ বলে মনে করা হচ্ছে। এমন স্থাপনা এর আগে পাওয়া যায়নি। এছাড়া বিভিন্ন প্রত্নবস্তু পাওয়া গেছে।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পণ্ডিত জানান, মহাস্থানে খননে যা পাওয়া গেছে সেসব প্রত্নবস্তু গুপ্ত সময়ের, তবে প্রত্নতাত্ত্বিকরা গবেষণা করে বলতে পারবেন এগুলো আসলে কোন সময়ের।

জানা যায়, প্রায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন নগরী বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়। মহাস্থানগড়ের ভেতরের একটি অংশের নাম বৈরাগীর ভিটা। প্রাচীন দুর্গনগরী মহাস্থানগড়ের জাহাজঘাটা থেকে দক্ষিণে এবং পরশুরাম প্যালেসের উত্তরে বৈরাগী ভিটার অবস্থান। এ স্থানটি একটি রাজবাড়ি ছিল বলে ধারণা করা হয়। সেই সময়ের রাজা কর্তৃক মুনি, ঋষি বা বৈরাগীর সেবা করা হতো বলে স্থানটির নাম বৈরাগীর ভিটা।

বগুড়ার মহাস্থানগড়ের লইয়েরকুড়ি ও বৈরাগীর ভিটায় খননকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর। খননকাজটি শেষ হয় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। খননকাজ করে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স যৌথভাবে। ওই সময় প্রায় দুই মাস খননের পর পাওয়া যায় গুপ্ত, পাল ও মৌর্য আমলের ধ্বংস হয়ে যাওয়া অবকাঠামো ও বেশকিছু প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ। এরপর আবারো চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে খননকাজ শুরু হয়েছে। করোনায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের ১ মার্চ বগুড়ার শিবগঞ্জের মহাস্থানগড়ে প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও প্রাপ্ত পুরাকীর্তির ইতিহাস ঐতিহ্য খুঁজে বের করা ও গবেষণার উদ্দেশ্যে পুনরায় খনন শুরু হয়।

গত ১৪ মে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাস্থান জাদুঘর চত্বরে বৈরাগীর ভিটায় প্রত্নতাত্ত্বিক খনন থেকে প্রাপ্ত প্রত্নবস্ত প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পণ্ডিত এই প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন।

মহাস্থান জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান রাজিয়া সুলতানা জানান, প্রত্ন নিদর্শন সযত্নে বের করতে খনন কাজে গেতি, কোদাল, চাকু ব্যবহার হচ্ছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে খনন কাজ অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।



কোন মন্তব্য নেই

Ads Place