Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

পাঁচবিবিতে ৮ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ৮দিন ধরে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী মোছাঃ মরিয়ম আক্তার (১৫) নিখোঁজ হয়েছে। ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নের নিলতা...

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ৮দিন ধরে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী মোছাঃ মরিয়ম আক্তার (১৫) নিখোঁজ হয়েছে। ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নের নিলতা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালেকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।

পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, গত ৮মার্চ আনুমানিক সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিলতাপাড়া বিরঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। বিকেল পর্যন্ত বাড়িতে না ফেরায় তারা বিভিন্নস্থানে খোঁজ খবর নিতে থাকে। পরবর্তীতে জানতে পারে তার স্কুলের কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে প্রাইভেট পড়ার পর বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে পাথরঘাটায় যায়, সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর অটো যোগে পাঁচবিবি বাজারে যায়, তারপর থেকে মেয়েটি নিখোঁজ রয়েছে। এরপর থেকে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেও এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

তবে জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল ইউনিয়নের হাতিগাড়া গ্রামের সাইফ উদ্দিনের পুত্র সাজ্জাদ হোসেন (২১) ০১৭৪৭-৮৩২৯৯৫ নাম্বার ফোন থেকে ছাত্রীর পরিবারে ফোন দিয়ে জানান, আপনাদের মেয়ে অপহরণ হয়েছে, কোন ছেলে নিয়ে গেছে তা আমি জানি, আমি খোঁজ দিতে পারব। তবে আমার সঙ্গে জয়পুরহাট বিশ্বাসপাড়ায় শুধু মেয়ের মা যেন দেখা করে। অন্য কাউকে সঙ্গে নিয়ে আসার প্রয়োজন নেই। পরে আবার পুরানাপৈল বাজারের ঠিকানা দেন। এরপর বলে আমার একটু সমস্যা আছে বাজারে নয় হাতিগাড়া গ্রামে আসেন। এভাবে তালবাহনা করতে থাকে।

একইভাবে নিলতাপাড়া গ্রামের অটো চালক দুলালের পুত্র দোলন (২১) তার ফেসবুক থেকে ছাত্রীর পরিবারের মোবাইলে একটি ছবি পোস্ট করে জানান, আপনাদের মেয়েকে যে ছেলে নিয়ে গেছে, তার ছবি এটি। এরপরেও এই দুইজন বিভিন্নভাবে মোবাইলে একেরপর এক ম্যাসেজ দিয়ে আসছে। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ছাত্রীর বাবা সাজ্জাদ ও দোলনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে পাঁচবিবি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযুক্ত দোলনের সঙ্গে এলাকায় গিয়ে কথা বললে তিনি বলেন,  মরিয়ম এর সঙ্গে আমার ৩-৪ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই আড়াই মাস থেকে এখন আর সম্পর্ক নেই। সাজ্জাদের মোবাইল ফোনে বহুবার কল করে তাকে পাওয়া যায়নি, ফোনটি অন্যজন রিসিভ করছে এবং এই বিষয়ে কথা বলছে না।

থানায় অভিযোগের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই জাকারিয়া খান এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, মেয়েটি নিখোঁজের অভিযোগের সূত্র ধরে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।


সজল কুমার দাস।

কোন মন্তব্য নেই

Ads Place