গ্রামের খেলাধুলা, নাচ-গানপ্রেমী চঞ্চল মেয়ে বর্ষা রাণী উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পেরিয়ে ৫০ তম জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আঞ্চলিক প...
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের হোসেন নগর (হিন্দুপাড়া) গ্রামের কৃষক পরিবারের পিতা উত্তম চন্দ্র সরকার ও মাতা বিথী রাণী সরকারের তিন সন্তানের মধ্যে ২য় মেয়ে বর্ষা রাণী (১৫)। সে উপজেলার গোপিনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী।
গোপিনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাছেদ বর্ষা রাণীর আঞ্চলিক পর্যায়ে (৩টি বিভাগের মধ্যে) লং জাম্প খেলায় ২য় স্থান অধিকার করে বর্তমানে রংপুরে রয়েছে। আগামী ১৫ মার্চ জাতীয় পর্যায়ে খেলতে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সে।
পরিবার, প্রতিবেশী ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পড়াশোনায় কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও ছোট থেকেই খেলা-ধুলা, নাচ-গানের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ ছিল তার। এজন্য পরিবারের কাছ থেকে বকাঝকাও শুনতে হতো প্রতিনিয়ত। এর পরেও প্রতিটি প্রতিযোগিতায় অর্জন করেছে বিভিন্ন পুরস্কার। উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পেরিয়ে ৫০তম জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আঞ্চলিক পর্যায়ে লং জাম্প খেলায় ২য় স্থান অর্জন করে জাতীয় পর্যায়ে যাওয়ায় বর্তমানে সবার নিকট এখন শুধুই তার প্রসংশা।
কৃষক পিতা উত্তম চন্দ্র সরকার বলেন, আগের আমার পরিচয়ে গ্রামবাসী ও স্বজনরা আমার মেয়েকে চিনত। এখন মেয়ের পরিচয়ে সবাই আমাকে চিনছে। এতে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার মেয়ের জন্য আশীর্বাদ করবেন।
কয়েকজন গ্রামবাসী বলেন, বর্ষা রাণী এখন আমাদের গ্রামের গর্ব। আমরা আশা করি, সে আমাদের গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করবে।
গোপিনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, সে আমাদের স্কুলের পাশাপাশি এই উপজেলার গর্ব আজ। সে সবার কাছে দোয়া চেয়েছে, যেন জাতীয় পর্যায়ে ভালো অবস্থানে থাকতে পারে। আমরা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা এবং আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গত ১০ মার্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, বর্ষা রাণীর এই কৃতিত্বে আমরা গর্বিত। আশা করি, জাতীয় পর্যায়েও সে ভালো করবে।
মওদুদ আহমেদ।
কোন মন্তব্য নেই