জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বড় ভাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা মার্কার ওয়াজেদ আলী মন্ডলসহ কর্মীদের ...
ওই ঘটনায় বড় ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওয়াজেদ আলী মন্ডলসহ তার ৩ জন কর্মী আহত হয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা উদয়পুরের মোসলেমগঞ্জ বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ঘটে। ওই ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ কর্মীদের নামে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বড় ভাই ওয়াজেদ আলী মন্ডল মোসলেমগঞ্জ বাজারে অবস্থিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ভোটের বিষয়ে তার কর্মীদের নিয়ে আলোচনায় বসছিলেন। তখন রাত আড়াইটা। হঠাৎ করে তার ছোট ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলন মন্ডল কর্মীদের নিয়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই এ্যালোপাতারী মারপিট করতে থাকে। ছোট ভাইয়ের লাঠির আঘাতে বড় ভাই মাটিতে পড়ে যায়। এছাড়া আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ৩ জন কর্মী আহত হয়। এরপর ছোট ভাই তার কর্মীদের নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মীরা ওয়াজেদ আলী মন্ডলকে উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। চিকিৎসা শেষে রাতেই তাকে বাড়ীতে নিয়ে যান। আহত অন্যরাও স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে যে যার মত করে বাড়ীতে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী জামিরুল ইসলাম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলন মন্ডল পরিকল্পিতভাবে তার বড় ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওয়াজেদ আলী মন্ডলসহ তার কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করেছে। মিলন মন্ডল ঘরে প্রবেশ করেই বড় ভাইকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। দুই ভাইয়ের যুদ্ধ বেশ ভালই জমে উঠেছে। দিনতো পরেই আছে, আরও কত কি দেখতে হবে। এখন শুধু অপেক্ষার পালা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ছোট ভাই মিলন মন্ডল বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তার কর্মীরা আমাকেসহ কর্মীদের নিয়ে যে অভিযোগ করছে তা মিথ্যা। কে বা কাহারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখন আমাকেসহ কর্মীদের উপর দোষারুপ করছে। মনোনয়পত্র যাচাই-বাচাইয়ে দিনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মীরা আমাকে হুমকি দিয়েছিল। আমার সমর্থক ও প্রস্তাবককে রাস্তায় আটকিয়ে তার কর্মীরা ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই করেছে এবং রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যেতে নিষেধ করেছে বটে আবার হুমকিও দিয়েছে। সেটা যখন ব্যার্থ হয়েছে, তখন নাটক সাজিয়ে মামলা দিতে শুরু করেছে। দিন যতই ঘনিয়ে আসবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরই ঘুম হারাম হবে। আমিও আগে অভিযোগ করেছি।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী বড় ভাই ওয়াজেদ আলী মন্ডল বলেন, কর্মীদের নিয়ে রাতে আলোচনা করছিলাম। হঠাৎ করেই স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলন মন্ডল তার কর্মীদের নিয়ে ঘরে প্রবেশ করেই আমাকেসহ কর্মীদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। আমিসহ আরও ৩জন কর্মী আহত হয়। অফিসের আসবাবপত্র, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম মালিক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে। রাতের ঘটনার পর ওই এলাকায় বর্তমানে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
এস এম শফিকুল ইসলাম।
কোন মন্তব্য নেই