উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা জয়পুরহাটে দিন দিন করোনা সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। গত ১ সপ্তাহে জেলায় ৩৮৫ জনের শরীরে করোনার ভাইরাস ধরা পড়েছে। এ নি...
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা জয়পুরহাটে দিন দিন করোনা সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। গত ১ সপ্তাহে জেলায় ৩৮৫ জনের শরীরে করোনার ভাইরাস ধরা পড়েছে। এ নিয়ে অনেকটা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে জেলাবাসী।
জানা যায়, করোনার প্রাদুর্ভাব দিন দিন বাড়তে থাকায় জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি পৌরসভায় বিকেল ৫টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত ওষুধের দোকান ব্যতীত অন্য কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা না রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে এরপরও করোনা সচেতনতায় সাধারণ মানুষ অনেকটাই অসেচতনভাবে ঘোরাফেরা ও কেনাকাটা করছে। উত্তরের সীমান্ত ঘেষা জয়পুরহাট জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট নন্দ কিশোর আগরওয়ালা বলেন, শুধু মাইকে ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে এ জেলার স্বাস্থ্য সুরক্ষার কার্যক্রম।
এ ক্ষেত্রে দ্রুত লকডাউন ঘোষণা ছাড়া উপায় নেই।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরাফাত হোসেন জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশের সহায়তায় সরকারি বিধি নিষেধ মানতে মাঠ পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ নিয়মিত টহল অব্যহত রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে জেলা সিভিল সার্জন মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, জেলা হাসপাতালসহ উপজেলা হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর চিকিৎসায় পর্যাপ্ত চিকিৎসক, ওষুধ ও আলাদা বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জয়পুরহাট জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৪ জন নারী পুরুষ মারা গেছেন। এরমধ্যে জয়পুরহাট সদর উপজেলায় সাতজন, পাঁচবিবি উপজেলায় ৪ জন, কালাই উপজেলায় দুইজন ও ক্ষেতলাল উপজেলায় একজন।
শাহিদুল ইসলাম সবুজ।
কোন মন্তব্য নেই