Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

জয়পুরহাট-১: আসন ফিরে পেতে মরিয়া বিএনপি, জিততে চায় জামায়াতও

 নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, জয়পুরহাট-১ আসনের নির্বাচন ততই জমে উঠছে। প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোটপ্রার্থনা করছেন। সকাল থেকে...


 নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, জয়পুরহাট-১ আসনের নির্বাচন ততই জমে উঠছে। প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোটপ্রার্থনা করছেন। সকাল থেকে রাত অবধি প্রার্থীরা মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রতি। ছোট দলগুলোর প্রচারও থেমে নেই। অনেকেই জোটের অপেক্ষায় রয়েছেন। ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আসনটি ফিরে পেতে মরিয়া বিএনপি। সাংগঠনিক ভিত মজবুত করে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে জামায়াতও। বিএনপির মতো জামায়াতও কবজা করতে চায় আসনটি। তবে ভোটাররা বলছেন, যোগ্য প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন তারা।

জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলা নিয়ে গঠিত জয়পুরহাট-১ আসন। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৩৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৪ জন, নারী ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩০২ ও তৃতীয় লিঙ্গ ৮ জন। এই আসনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৫১টি ও ভোটকক্ষ ৯২২টি।

১৯৮৪ সালে জয়পুরহাট জেলা গঠন হওয়ার পর ১৯৮৬-তে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আব্বাস আলী মণ্ডল এই আসনে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির খন্দকার অলিউজ্জামান আলম এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে বিএনপির গোলাম রাব্বানী, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপির আব্দুল আলিম, ২০০৮ সালে বিএনপির মোজাহার আলী প্রধান এমপি নির্বাচত হন এখান থেকে। এ জন্য আসনটিকে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।

২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। তখন এমপি ছিলেন অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি মোজাহার আলী প্রধানের ছেলে ও জেলা বিএনপির বর্তমান সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান। ৫ আগস্টের পর তিনি নিজেকে প্রার্থী জানান দিয়ে নির্বাচনি এলাকায় বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে প্রচার চালিয়েছেন। 

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সাংগঠনিক ভিত বেশ মজবুত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ফজলুর রহমান সাঈদ। তিনিও ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটপ্রার্থনা করছেন। এই দুই দল ছাড়াও এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, খেলাফত মসলিসের প্রার্থীরা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। 

বিএনপির প্রার্থী মাসুদ রানা প্রধান বলেন, ‘বিগত সময়ে এই আসনে অংশগ্রহণমূলক যত নির্বাচন হয়েছে তার সবগুলোতেই বিএনপি জিতেছে। আমার প্রয়াত বাবা ধানের শীষে বিপুল ভোটে এ আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন। এই অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্ক। সব সময় মানুষের পাশে থেকেছি। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করেছি। মানুষের কাছ থেকে খুব সাড়া পাচ্ছি। আশা করি সাধারণ মানুষ আমাকে ভোটে নির্বাচিত করবেন। বিজয়ী হলে জয়পুরহাটে মেডিকেল কলেজ, আধুনিক স্টেডিয়াম, পার্ক স্থাপন করব। রাস্তাঘাট, সেতু-কালভার্ট, জলাবদ্ধতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে। মাদকের বিরুদ্ধে আমার জিরো টলারেন্স থাকবে। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত জয়পুরহাট উপহার দিতে চাই।’

জামায়াতের প্রার্থী ফজলুর রহমান সাঈদ বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন থেকে সামাজিক কাজে জড়িত রয়েছি। জনগণের পাশে থেকেছি। এ জন্য জনগণের ভালোবাসা পাচ্ছি। আমরা দুর্নীতি ও চাঁদাবাজমুক্ত জয়পুরহাট গড়ব। জয়পুরহাট জেলা একটি অবহেলিত জেলা। আমি নির্বাচিত হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন উন্নয়নকাজ প্রথম ধাপেই করব।’

এনসিপির প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা ভোটারদের কাছে যাচ্ছি। প্রচারণা চালিয়ে আসছি। এখন সবাই পরিবর্তন চায়। এনসিপি জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে রাজনীতি করছে। নির্বাচিত হলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করব। আমরা সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমি জয়ী হব।’ 

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে জোট হচ্ছে। এ জন্য অপেক্ষা করছি। দল সিদ্ধান্ত নিলে সেই মোতাবেক নির্বাচন করব।’

গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘দলের ইশতেহার অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। এতদিন মানুষ নেতার বাড়ি বাড়ি গিয়েছে। কিন্তু আমরা জনগণের বাড়ি বাড়ি যাব। জনগণের কাছ থেকে আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’

খেলাফত মজলিসের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আটটি ইসলামি দলের মধ্যে ভোট নিয়ে সমঝোতা হচ্ছে। আগামী ২৫ তারিখে ঢাকায় মিটিং হবে। এরপর সিদ্ধান্ত আসবে। কেন্দ্র থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে, সে অনুযায়ীই আমরা নির্বাচন করব।’

সাগর কুমার।

কোন মন্তব্য নেই

Ads Place