দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে পৈত্রিক জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত এক জ...
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে পৈত্রিক জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত এক জনসহ মোট তিন জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে আটক করে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শ্রীপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে শামীম ইসলাম দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি ভোগদখল করে আসছেন। সেই জমিতে সম্প্রতি বিবাদী পক্ষ জোরপূর্বক আমন ধান রোপণ করে। গত ২৩ নভেম্বর (রবিবার) ওই জমির ধান কাটতে গেলে শামীম ইসলাম ও তার পরিবার বাধা দেন এবং আপোষ মীমাংসার কথা বলতে চান।
এ সময় বিবাদী পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে সিরাজুল ইসলামকে ধান কাটার কাঁচি দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এছাড়া লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শামীম ইসলাম ও তার ভাই শাহীন ইসলামকে মারধর করলে তারা গুরুতর আহত হন। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে উদ্ধার করলেও বিবাদীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
গুরুতর আহত সিরাজুল ইসলামকে প্রথমে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন। অন্য আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলামের ছেলে শামীম ইসলাম বাদী হয়ে শ্রীপুর গ্রামের মঈনুল ইসলামের ছেলে সব্বুর আলী, পিয়ার তুল্লার ছেলে নজরুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও সারেকুল ইসলামের ছেলে আশিকসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে বিরামপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে নজরুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলামকে আটক করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিন জানান, ধৃত দুই আসামীকে মঙ্গলবার দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম।

কোন মন্তব্য নেই