টানা সাত দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে উৎপাদনে ফিরেছে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে কেন্দ্রটির ১ ...
টানা সাত দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে উৎপাদনে ফিরেছে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে কেন্দ্রটির ১ নম্বর ইউনিটটি পুনরায় চালু করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক।
তিনি জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত ১৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে কেন্দ্রটির ১ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে ১৬ অক্টোবর থেকে ৩ নম্বর ইউনিটের উৎপাদনও বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ২০২০ সাল থেকেই বন্ধ রয়েছে ২ নম্বর ইউনিটটি। ফলে ১৯ অক্টোবর থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়েছিল বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন।
আজ ১ নম্বর ইউনিটটি চালু হওয়ায় কেন্দ্রটি আংশিকভাবে উৎপাদনে ফিরেছে। বর্তমানে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই ইউনিট থেকে প্রায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক আরও জানান, ৩ নম্বর ইউনিটটি চালুর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল, তবে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সেটি চালু করা সম্ভব হয়নি। ইউনিটটির সমস্যাগুলো সমাধানে প্রস্তুতকারক চীনা কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রয়োজনীয় মেরামত শেষে আগামী তিন মাসের মধ্যে ইউনিটটি পুনরায় উৎপাদনে যেতে পারবে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট তিনটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ইউনিটের ক্ষমতা ১২৫ মেগাওয়াট করে এবং ৩ নম্বর ইউনিটের ক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াট। তবে কখনোই পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদন হয়নি। সাধারণত ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিটগুলো ৬০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট এবং ২৭৫ মেগাওয়াট ইউনিটটি ১৬০ থেকে ১৭৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত উৎপাদন করেছে।
ফলে কাগজে কলমে কেন্দ্রটির মোট ক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট হলেও বাস্তবে এত পরিমাণ বিদ্যুৎ কখনোই একযোগে উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি।
চলমান সমস্যাগুলোর সমাধান হলে শিগগিরই বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পূর্ণ উৎপাদনে ফেরার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম।

কোন মন্তব্য নেই