Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

দিনাজপুর সীমান্তে বিজিবি-গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্তে দুই ব্যক্তিকে আটক করার জেরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘট...


দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্তে দুই ব্যক্তিকে আটক করার জেরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর বিজিবি সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি জানিয়েছেন জয়পুরহাট ২০ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর কাজী আসিফ আহমদ।

জয়পুরহাট ২০ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর কাজী আসিফ আহমদ জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিরামপুর সীমান্তের দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামে বিজিবির জয়পুরহাট ২০ ব্যাটালিয়নের দাউদপুর বিওপির সদস্যদের সাথে গ্রামবাসীর সঙ্গে ছোট একটি বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়। এঘটনায় গ্রামবাসী বিজিবির পোস্ট ভাংচুর করে এবং কয়েকজন বিজিবি সদস্য আঘাত প্রাপ্ত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীরা জানান, গতকাল মাগরিবের নামাজের পর দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামের মসজিদের মুয়াজ্জিন আতিয়ার রহমান (২২) তার প্রতিবেশী আমিনুল ইসলামকে (১৮) নিয়ে গ্রাম-সংলগ্ন বিল থেকে নিজের খামারের হাঁস আনতে যান। পথে বাংলাদেশ-ভারতের ২৯০/২৭ নম্বর সীমানাপিলার থেকে প্রায় ৫০ গজ দূরে তাদের দুজনকে আটক করে বিজিবি। পরে তাদের বিরুদ্ধে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা বিলে হাঁস আনতে গিয়েছিলেন জানালে আতিয়ার রহমানকে টহল পোস্টে নিয়ে যাওয়া হয়। 

তারা আরও জানান, সেখানে দাউদপুর ক্যাম্পের নায়েকসহ কয়েকজন তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। এ সময় আতিয়ারের চিৎকারে টহল পোস্ট-সংলগ্ন বাড়ি থেকে তার মা রাবেয়া বেগম গিয়ে ছেলেকে মারধরের প্রতিবাদ করেন। এ সময় তাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে গ্রামবাসী গিয়ে আতিয়ার ও তার মাকে মারধরের ঘটনায় বিজিবির সদস্যদের সঙ্গে বাগ্বিতন্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে বিজিবির সঙ্গে গ্রামবাসীর হাতাহাতি হয়। এ সময় বিজিবির টহল পোস্টে ভাঙচুর করেন। পরে গ্রামবাসী বিজিবির কাছ থেকে আতিয়ার, তার মা রাবেয়া ও আমিনুলকে উদ্ধার করে গ্রামে নিয়ে আসেন।

জয়পুরহাট ২০ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর কাজী আসিফ আহমদ জানান, বিজিবি ও গ্রামবাসীর মধ্যে একটা ভুলবোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছিল। পরে বিজিবির জয়পুরহাট ২০ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিতি ছিলেন। পরে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টির সমাধান হয়। এ ঘটনায় ঐক্যাম্পের বিজিবি সদস্যদের শুক্রবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যাটালিয়নে আনা হয়েছে। আগামীকাল তাদের ওই ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে। 

মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম।

কোন মন্তব্য নেই

Ads Place