জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে খরিপ-২ মৌসুমে ইউনাইটেড বীজ কোম্পানির ফায়ার বক্স জাতের মরিচ চাষে ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষক । রোপণের তিন থেকে চার সপ্তাহের ...
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে খরিপ-২ মৌসুমে ইউনাইটেড বীজ কোম্পানির ফায়ার বক্স জাতের মরিচ চাষে ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষক । রোপণের তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে শত শত বিঘা জমির মরিচ গাছ অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পাতা কুঁকড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কোন কীটনাশক বা চিকিৎসায় সুফল না মেলায় হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ফসল রক্ষা করতে না পারলে প্রায় ১ কোটি ৯২ লাখ টাকার ক্ষতির সম্ভাবনা ।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, ক্ষেতলাল উপজেলার ১১ হাজার ২শ ১১ হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে চলতি মৌসুমে প্রায় ১৩০ হেক্টরে সবজি চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে মরিচের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হেক্টর, অর্জিত হয়েছে ১২ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২০০ মেট্রিক টন, যার বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা। তবে রোগের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের তেলাল কসুম শহর ব্লক ও আলমপুর ইউনিয়নের নশিরপুর-শিবপুর এলাকায় প্রায় সাড়ে ৩০০ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের কাঁচামরিচ চাষ হয়েছে। এর অধিকাংশই ইউনাইটেড বীজ কোম্পানির ফায়ার বক্স জাত। স্থানীয় ডিলার সোহেলের কাছ থেকে বীজ কিনেছেন কৃষকরা। কিন্তু জমিতে রোপণের কয়েক সপ্তাহ পরেই গাছের পাতা কুঁকড়ে যেতে শুরু করে।
শিবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, আমি ৬ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। রোপণের পর গাছে ফুল আসার সময়েই সব পাতা কুঁকড়ে যাচ্ছে। কীটনাশক দিলেও কোন লাভ হচ্ছে না। প্রাথমিক ভাবে এই জমিতে আমার প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফসল নষ্ট হলে ৮-১০ লাখ টাকা লোকসান হবে। প্রতিকার চেয়ে এলাকার শতাধিক ভুক্তভোগী কৃষক বীজ ডিলার ও উপজেলা কৃষি অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ডিলার সোহেল বলেন, বীজে কোন সমস্যা নেই। যদি বীজ খারাপ হতো তাহলে গাছই গজাত না। গাছ হওয়ার পর সমস্যা হয়েছে, সম্ভবত মাটি বা আবহাওয়ার কারণে এমনটা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমাদের টিম মাঠে গিয়েছে। পরীক্ষার পর জানা যাবে সঠিক কারণ।
আবু হাসান।
কোন মন্তব্য নেই