Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

ঘোড়াঘাটে নদীর চরে প্রকাশ্যে বসছে জুয়ার আসর

 দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের কুলানন্দপুর করতোয়া নদীর দুই উপজেলার চরে প্রকাশ্যে বসছে জুয়ার আসর। ওই চরে প্রতিদিন দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জুয়ার আস...


 দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের কুলানন্দপুর করতোয়া নদীর দুই উপজেলার চরে প্রকাশ্যে বসছে জুয়ার আসর। ওই চরে প্রতিদিন দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জুয়ার আসর বসলেও দেখার কেউ নেই। 

তবে প্রশাসন বলছেন, জুয়ার আসরটি বসছে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট ও রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর চরে। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা অন্য উপজেলার সীমানায় ঢুকে পড়ায় তাদের ধরার সম্ভব হচ্ছে না। 

এদিকে ঘোড়াঘাট উপজেলায় চুরি, ডাকাতি ও মাদকদ্রব্যের বিস্তার লাভ করায় আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে শালিকাদহ ও কুলানন্দপুরসহ আশপাশের গ্রামের সাধারণ মানুষের।

স্থানীয় সূত্র বলছেন, বুলাকিপুর ইউনিয়নের কুলানন্দপুর গ্রামটি ঘোড়াঘাট উপজেলার শেষ সীমানা। এপারে ঘোড়াঘাট উপজেলা ওপারে পীরগঞ্জ উপজেলার দুই সীমানা ঘেঁষো করতোয়া নদীর চরে প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসছে এই জুয়ার আসর। আর জুয়ার আসটি পরিচালনা করেছে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের ধর্মদাশপুর উচাপাড়া গ্রামের কুখ্যাত জুয়ারু আতাউর রহমান আতোয়ার নাম এক ব্যক্তি।

একটি সূত্র জানায়, তার বিরুদ্ধে রংপুর ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন থানায় চুরি, মাদক, মারামারি এমনকি ধর্ষণ চেষ্টার মতো একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে কুখ্যাত জুয়ারু আতাউর রহমান । 

স্থানীয়দের অভিযোগ,আতাউর দীর্ঘদিন ধরে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদেরকে সাথে নিয়ে কুলানন্দপুর এলাকায়  জুয়ার আসর মাদকের স্বর্গরাজ্যে তৈরি করেছেন। ওই স্থানে প্রতিদিন ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসযোগে বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মানুষ এসে এই জুয়ার আসওে অংশ নিচ্ছের। এতে করে যুবসমাজ মাদকের জালে জড়িয়ে পড়েছে, সৃষ্টি হচ্ছে বিপজ্জনক সামাজিক অবক্ষয়।  ওই সূত্রটি আরও জানান, আতাউরের পাশাপাশি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলর শিমুলবাড়ী এলাকার মেহেদুল ইসলাম একই অপরাধের চক্রের সাথে জড়িত রয়েছে। শুধু জুয়াই নয়, কুলানন্দপুর এলাকায় ইয়াবা ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের অবাধ বিক্রি হচ্ছে। 

এ ছাড়াও নদীর বালু অবৈধভাবে উত্তোলন, জুয়ার টাকার ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ এবং কখনও কখনও খুন জখমের মত ঘটনা ঘটছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, জুয়া ও মাদকের কারণে আমাদের এলাকার কিশোর ও যুবকরা ধ্বংসের পথে যাচ্ছে। প্রশাসনের এমন নীরবতায় আমরা হতাশায় ভূগছি। এ যেন দেখার কেউ নেই?। 

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সীমানায় চলে যায় এবং পীরগঞ্জ সীমানায় জুয়ার আসর বসে। আবার পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলে ঘোড়াঘাট উপজেলার সীমানায় জুয়ার আসরটি বসছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন এ যেন চোর পুলিশ খেলা চলছে? তাদের দাবী, প্রশাসনের নির্লিপ্ততা দূর করে দ্রুত আতোয়ার ও তার সহযোগীদের আইনের আওতায় এনে জুয়া, মাদক এবং অন্যান্য অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, জুয়ারুরা মূলত অন্য জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় জুয়ার আসর বসায়। আমরা অভিযান চালাতে গেলে তারা পীরগঞ্জ এলাকায় পালিয়ে যায়। তবুও আমরা বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিবো।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, নদী ও দুই সীমানা এলাকা হওয়ার কারণে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই অপরাধের সাথে জড়িতরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আমি বিষয়গুলো নিয়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা মিটিং এ আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে খুব দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম।

কোন মন্তব্য নেই

Ads Place