সাম্প্রতিক তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে মাসব্যাপী ১৫ হাজার বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি ঘোষণা ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দ...
সাম্প্রতিক তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে মাসব্যাপী ১৫ হাজার বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি ঘোষণা ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিমা আক্তার জাহান।
কালাই উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জুলাই মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণের উৎসব সফল করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১১ হাজার দুইশো ১২ টি গাছের চারা বিতরণ ও রোপণ করা হয়েছে। আরো চারা বিতরণ ও রোপণের প্রস্তুতি চলছে।
কালাই উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারাগুলো বিতরণ ও রোপণ করা হচ্ছে।
কালাই উপজেলা প্রশাসন, কালাই পৌরসভা ও উপজেলা কৃষি অফিসের সমন্বয়ে ১৫ হাজার গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ১১ হাজার দুইশো ১২ টি গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। আরো গাছের চারা বিতরণ ও রোপণের প্রস্ততি চলছে। বিতরণকৃত গাছের চারার মধ্যে রয়েছে আম, জাম, বেল, কাঁঠাল, তালের চারা, লেবু, সজনা, নিম। এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ,বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
এরই মধ্যে উপজেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষা বৃত্তি প্রাপ্ত এবং কালাই উপজেলা থেকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স প্রাপ্তদের ২৫২ টি, কালাই পৌরসভায় ২ হাজার, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষক ও শিক্ষার্থীদের ৮ হাজার ছয়শ ৪০ এছাড়াও ব্র্যাকের মাধ্যমে ৩২০ টি চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বৈরাগী হাটের কৃষক মামুনুর রশিদ ও পৌরসভার ফিরোজ হোসেন বলেন, উপজেলা থেকে গাছের চারা পেয়ে আমরা খুবই খুশি। গাছগুলো নিয়মিত পরিচর্যা করছি।
কাকলি শিশু নিকেতন ও সদর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানজিন সোনিয়া ও হাবিবা আক্তার বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে আমরা ৪টি ফলদ গাছের চারা পেয়েছি। সেগুলো বাড়ির আঙিনায় লাগিয়ে পরিচর্যা করছি। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সবার গাছ লাগানো উচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী
পৌরসভার নওয়াপাড়া গ্রামের মেহেদী হাসান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের দারুণ একটি উদ্যোগ। আমাকে উপহার দেওয়া গাছটি বাড়ির আঙিনায় লাগিয়েছি এবং নিয়মিত পরিচর্যা করছি। পরিবেশ দূষণ কমিয়ে উদ্ভিদ মানুষের শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্য উভয়ের উন্নতিতে সবচেয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোলামগাড়ি এলাকার মারজুমা আকতার ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী পুনট ইউনিয়নের চাকলমুয়া গ্রামের রাকিব হাসান বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ও দূর্যোগ মোকাবিলায় গাছ লাগানোর কোন বিকল্প নেই। তাই নতুন প্রজন্মদের সচেতন হতে হবে। সেই সাথে সবাইকে সঠিক সময়ে পরিচর্যা সহকারে বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে।
কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিমা আক্তার জাহান বলেন, জুলাই মাসে কালাই উপজেলায় ১৫ হাজার গাছ লাগানোর কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ইতোমধ্যে ১১ হাজারেরও অধিক গাছ লাগানো হয়েছে। গাছ লাগোনোর এখনি উপযুক্ত সময়। কালাইয়ে রাস্তার দুইপাশে, পতিত জমি ও গৃহস্থালির আঙিনায় ও বাড়ির ছাদসহ অন্যান্য জায়গায় ফলদ,বনজ ও ঔষধি গাছ লাগানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। দরকার শুধু চেষ্টা ও রক্ষণাবেক্ষণের যথাযথ উদ্যোগ।
তীব্র তাপদাহের ফলে এবং প্রকৃতি ও পরিবেশের মাঝে আজ মানুষের অত্যাচারে প্রকৃতি দারুণভাবে রুদ্ররূপ ধারণ করেছে। প্রকৃতির এই রুদ্র আচরণ থেকে আমাদের পরিত্রাণের জন্য বৃক্ষরোপণ করা জরুরি।
আব্দুন নূর নাহিদ।
কোন মন্তব্য নেই