জয়পুরহাটের কালাইয়ে মাসখানেক আগে ৯৯ শতক আয়তনের একটি শরীকানা পুকুর সংস্কারের আবেদন দিয়ে, অনুমতির আগেই মাটি ও বালু বিক্রির অভিযোগ উঠেছে শরীকদের...
জয়পুরহাটের কালাইয়ে মাসখানেক আগে ৯৯ শতক আয়তনের একটি শরীকানা পুকুর সংস্কারের আবেদন দিয়ে, অনুমতির আগেই মাটি ও বালু বিক্রির অভিযোগ উঠেছে শরীকদের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, জেলার কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের ছত্রগ্রামে অবস্থিত ওই পুকুরটির নাম 'দামপুকুর'। পুকুরটির শরীকরা হলেন- তফিজ উদ্দিন, আব্দুল আজিজ, আবু মুসা, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এঁদের মধ্যে তফিজ উদ্দিনের নামে মাস খানেক আগে পুকুরটি সংস্কারের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে একটি আবেদন করা হয়। আবেদনটি এখনও অনুমোদনই দেওয়া হয়নি। অথচ মাসখানেক আগে থেকে রাতে দিনে ওই পুকুরটি থেকে মাটি ও বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। এজন্য টপ লেভেল থেকে প্রায় ৩৫-৪০ ফুট গভীর করে খনন করা হচ্ছে। প্রথমে ভেকু (এস্কেভেটর) দিয়ে উপর থেকে ১৫-২০ ফুট গভীর করে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি ট্রাক্টর দূরত্ব ভেদে ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এরপর আরও ১৫-২০ গভীর করে খনন করে তোলা হচ্ছে বালু। ওই বালুগুলো বিক্রি করা হচ্ছে ট্রাক্টর প্রতি ১ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। চাহিদা মাফিক কাস্টমার না পাওয়া গেলে অতিরিক্ত বালু স্তুপ করে রাখা হচ্ছে ওই পুকুরের অদূরে একটি উঠানে। সেখান থেকে পরে সুবিধা মতো বালুগুলো বিক্রি করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছত্রগ্রামের কয়েকজন লোক জানান, যেভাবে ৩৫-৪০ ফুট গভীর করে দিনের বেলায় এবং বাঁশের খুঁটিতে বিদ্যুতের লাইন টেনে রাতে মাটি ও বালু তোলা হচ্ছে তা দুঃখ জনক। মনে হচ্ছে, বিষয়টি দেখার কেউ নেই। এর প্রভাবে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা।
দামপুকুরটির শরীকরদের মধ্যে আবু মুসা ও আব্দুল আজিজের সাথে কথা হয়। তাঁরা জানান, প্রায় একমাস আগে ছত্রগ্রামের সাবেক মেম্বার মতিয়র রহমানকে সাথে নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফতেকার রহমানের কাছে পুকুরটি সংস্কারের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তারপর থেকেই মাটি ও বালু তোলা হচ্ছে। বিক্রিও করা হচ্ছে। এতে পরিবেশের কোন ক্ষতি হবেনা বলে তাঁদের দাবি। কারণ বালু তোলার পরে ফাঁকা জায়গাটুকু মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে কালাই উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ইফতেকার রহমান বলেন, 'মাস খানেক আগে পুকুরটি সংস্কারের জন্য একজন ব্যক্তি আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আমরা তো আবেদনটি অনুমোদন করিনি। আর অনুমোদনের আগে মাটি বা বালু বিক্রি তো দূরের কথা, মাটি খনন করাও বেআইনি। দ্রুততার সঙ্গে খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
মো. আতাউর রহমান।
কোন মন্তব্য নেই