জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার কুসুমসাড়া এলাকায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং কালাই পৌরসভার কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শি...
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার কুসুমসাড়া এলাকায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং কালাই পৌরসভার কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাবালিকা কন্যার বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দেন ইউএনও। এসময় উভয় পরিবারের কাছে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সোমবার রাত ৯:৩০ আকন্দ পাড়ায় এবং অপরটি কুসুম সাড়া রাত ১১ টায় এ ঘটনা ঘটে। ইউএনওর উপস্থিতিতে অভিভাবকের অর্থদন্ড ও মুচলেকায় বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেল দুজন নাবালিকা।
কালাই উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন কালাই আকন্দ পাড়া এবং মাত্রাই ইউনিয়নের কুসুমসাড়া গ্রামে বাল্য বিবাহের আয়োজন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বাল্য বিবাহের সত্যতা পাওয়ায় আকন্দ পাড়া মহল্লায় পাশ্ববর্তী উপজেলার ধারকী গ্রামের বর আবু হানিফকে দশ হাজার টাকা ও কনের মা নিপা বিবি ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে দিবেনা মর্মে অঙ্গিকারনামা করেন। কুসুমসাড়া গ্রামের বরের পিতা অমূল্য চন্দ্র পাঁচ হাজার ও কনের পিতা উৎপল চন্দ্রের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়।
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা আক্তার জাহান বলেন, বর ও কনে উভয়পক্ষ তাদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে দিবেনা এই মর্মে পরিবারের সদস্যরা লিখিত অঙ্গিকারনামা দিয়ে বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন সবসময় মাঠ পর্যায়ে খোঁজ খবর রাখছে। বাল্য বিবাহ বন্ধে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা উচিত।
আব্দুন নুর নাহিদ।
কোন মন্তব্য নেই