জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দি গলিত লাশের পরিচয় সনাক্তের পরে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ওই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ...
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দি গলিত লাশের পরিচয় সনাক্তের পরে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ওই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পলাতক থাকা স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদর উপজেলার পীরগাছা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করেন র্যাব-৫, সিপিবি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা। এর আগে যে বাড়ির উঠান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয় সেই বাড়ির মালিক সামছুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন- বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মোজাম্মেল আলীর ছেলে রেজ্জাকুল আলী (৪৩) এবং রেজ্জাকুল আলীর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (৩৮)। এ দম্পতি গত কয়েক মাস ধরে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের সামছুল ইসলামের বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস করছিলেন।
জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক রফিকুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের দিন থেকে নিখোঁজ হোন ২৩ বছর বয়সী যুবক নাঈম হোসেন। তিনি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী-নয়াপাড়া গ্রামের মৃত মাসুদ রানার ছেলে এবং মহিপুর হাজি মহসিন সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় পাঁচবিবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল। এরই মধ্যে গত ৯ সেপ্টেম্বর ধরঞ্জী বাজার এলাকার সামছুল ইসলামের বাড়ির উঠানে গোসলখানা নির্মাণের জন্য মাটি খননের সময় বস্তাবন্দি গলিত লাশ বের হয়। সেদিন রাতেই ঘটনা স্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ। পরে
বস্তাবন্দি গলিত লাশের সাথে থাকা পরনের কাপড় দেখে ধরঞ্জী-নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা গোলাপী বানু লাশটিকে তাঁর ছেলে নাঈম হোসেন বলে শনাক্ত করেন। এরপর পুলিশ স্বজনদের দাবী ও আবেদনের প্রেক্ষিতে উদ্ধার হওয়া নাঈমের বস্তাবন্দি লাশটি তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন । পরে এ ঘটনায় নাইম হোসেনের মা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে র্যাব-৫ সদস্যরা রেজ্জাকুল আলী এবং তাঁর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে গ্রেপ্তার করেন।
পাঁচবিবি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক জানান, ভাড়াটিয়া রাজ্জাকের স্ত্রী সাবিনার সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিলো নাঈমের। সেজন্য তাঁকে হত্যার পর লাশটি গুম করতে তা বস্তাবন্দি করে, মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠিয়ে তাঁদের রিমান্ড চাওয়া হবে।
মো. আতাউর রহমান।
কোন মন্তব্য নেই