জয়পুরহাটে স্বামীকে আম গাছের সাথে বেঁধে রেখে এক গৃহবধূকে দলবেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদ...
গ্রেপ্তারকৃত চারজনই জয়পুরহাট সদর উপজেলার বাসিন্দা। এরা হলেন কাদের মণ্ডল পাড়ার শফিকুল ইসলামের ছেলে শাওন হোসেন (২২), চকগোপাল এলাকার মৃত শামসুল আলমের ছেলে মাহফুজ ওরফে মিফুজ (৩০), রহমতপুরের শামসুল আলমের ছেলে তানভির ইসলাম (১৯) এবং চকগোপালের শহিদুল ইসলামের ছেলে শাহিন (২৭)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভগী ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের উত্তর মাস্তর গ্রামে। আর তাঁর বাবার বাড়ি যশোর জেলায়। গত ১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ওই গৃহবধু বাবার বাড়িতে যাওয়ার জন্য কালাই থেকে বাসযোগে জয়পুরহাটে পৌঁছে। সে সময় পথে তাঁদের মোবাইলসহ সব টাকা চুরি হয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে তাঁরা জয়পুরহাট রেলগেটে এসে ভাড়ার জন্য মানুষের কাছে আর্থিক সাহায্য চান। সে সময় আসামী শাওন নিজেকে মেম্বারের ভাই হিসেবে পরিচয় দেন এবং আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর আসামী শাহিন অটোরিক্সায় করে তাঁদেরকে জয়পুরহাট সদর উপজেলার তেঘরবিশা গ্রামের একটি আম বাগানে নিয়ে যান। সেখানে অন্য দুজন আসামী এসে গৃহবধূর স্বামীকে একটি আম গাছের সাথে বেধে রাখেন। এরপর দলবেঁধে তাঁরা পালাক্রমে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করতে থাকেন। তখন ওই গৃহবধূ এবং তাঁর স্বামী চিৎকার চেঁচামেচি করেন। এতে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। তাঁরা ঘটনা স্থলেই দুুুুজনকে আটক করে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই দুইজনসহ মোট তিনজনকে আটক করেন। তবে চালক শাহিন ঘটনা স্থল থেকে কৌশলে পালিয়েে যান। পরে পুুুলিশ শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাঁকেও গ্রেপ্তার করেন।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভুগী ওই গৃহবধুর স্বামী বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করলে এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করেছেন। রোববার সকালে তাঁদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মো. আতাউর রহমান।
কোন মন্তব্য নেই