জয়পুরহাটের কালাই পৌরশহরে অবস্থিত ওমর কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও ওমর গার্টেন একাডেমীর বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ এর টিকা গ্রহনের রেজি...
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী যে সকল শিক্ষার্থী এখনও কোভিড-১৯ এর টিকা গ্রহণ করেননি, তাদের টিকা গ্রহনের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক চলাচল করতে বলা হয়েছে। এরই আলোকে কালাই পৌরশহরে অবস্থিত ওমর কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও ওমর গার্টেন একাডেমীর বিভিন্ন শ্রেণীর যে সকল শিক্ষার্থীরা টিকা গ্রহন করেননি, তাদের টিকা গ্রহনের রেজিষ্ট্রেশন করতে শ্রেণী শিক্ষক গত সোমবার বাড়ী থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে আসতে বলেন শিক্ষার্থীদের। শ্রেণি শিক্ষকের কথা অনুযায়ী ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী আমানুল্লাহ হাসান, নুসরাত আক্তার নিশাত, জান্নাতুন ফেরদৌস শশী, মুবতাসিম বিল্লাহ রিদয়, সিহাব সাখিদার, ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী এনামুল হক, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নূর এবং ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী খাত্তার হোসেন সিয়াম তাদের বাবা-মার ব্যবহারকৃত বিভিন্ন কোম্পানীর স্মার্ট ফোন নিয়ে আসেন। শিক্ষার্থীদের হাতে মোবাইল ফোন দেখার পর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা না করে তাদের হাত থেকে ওই স্মার্ট ফোনগুলো জোরপূর্বক কেড়ে নিয়ে তাদের সামনে ভেঙ্গে ফেলে অধ্যক্ষ এবং বিদ্যালয় চত্বর থেকে তাদেরকে বাহির করে দেওয়া হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী মুবতাসিম বিল্লাহ রিদয় বলেন, কোভিড ১৯ এর টিকা গ্রহনের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে স্যার আমাকে মোবাইল ফোন নিয়ে আসতে বলেছেন। তাই আমি বাবার নিকট থেকে ভিভো ওয়াই ১১ মডেলের স্মার্ট ফোনটি নিয়ে আসছি। অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ তালুকদার স্যার কোনো কিছু না বলেই আমার হাত থেকে মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছে। শুধু আমারই নয়, ওইদিন মোট আট জনের মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। আবার আমাদের সবাইকে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে। আমরা সবাই মিলে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মোবাইল ভেঙ্গে ফেলার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।
ক্ষতিগ্রস্ত অভিভাবক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলের কি অপরাধে মোবাইল ফোন নিয়ে আসতে বলে হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলাতে হবে। তা জানার জন্য কয়েকদিন ধরে অধ্যক্ষের নিকটে গিয়ে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আবার ফোন করলে তিনি বলেন আমি ব্যস্ত আছি। প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়ে এমন অন্যায় করতে পারেন না। এ অন্যায়ের বিচার চাই।
এ বিষয়ে ওমর কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও ওমর গার্টেন একাডেমীর অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ তালুকদার বলেন, টিকার রেজিষ্ট্রেশন করতে মোবাইল ফোন নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল এটা সত্য, তবে শ্রেণী কক্ষে মোবাইল ফোন নিষেধ ছিল। শ্রেণী কক্ষে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ার কারনে সেগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এটা আমার অন্যায় হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনোয়ারুল হাসান বলেন, অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের হাত থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টুকটুক তালুকদার বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি।
কোন মন্তব্য নেই