Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

ক্রেতা নেই “সম্রাটের” বিপাকে কালাইয়ের খামারিরা

কালাইয়ে “সম্রাট” কে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সৌখিন খামারি আমিরুল ইসলাম। ৩২ মণ ওজনের সম্রাটের দাম হাঁকিয়েছেন ১২ লাখ টাকা। বিক্রির জন্য ঢাকা নিয়ে যে...


কালাইয়ে “সম্রাট” কে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সৌখিন খামারি আমিরুল ইসলাম। ৩২ মণ ওজনের সম্রাটের দাম হাঁকিয়েছেন ১২ লাখ টাকা। বিক্রির জন্য ঢাকা নিয়ে যেতে না পারলে সঠিক মূল্য না পাওয়ার আশঙ্কা এই খামারির। 


করোনা মহামারির মধ্যেও অনেক যত্ন করে নিজ সন্তানের মতো লালন-পালন করে আসছেন। আদর করে নাম রেখেছেন “সম্রাট”। নাম ধরে ডাকলেই মাথা নেড়ে সাড়াদেন। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে সবুজ কাঁচা ঘাস, খড়, খৈল, ভূসি খাইয়ে বড় করে তুলছেন। দেখতে দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় হওয়ায় বিশাল আকৃতির এই ষাঁড় দেখতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন আমিরুলের বাড়িতে। বিশাল আকৃতির ষাঁড়ের মালিকের বাড়ি কালাই পৌরসভার তিন নাম্বার ওয়ার্ড দুরুন্জ মহল্লায়।


সৌখিন খামারি আমিরুল ইসলাম জানান কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ষাঁড়টি লালন-পালন করা হয়েছে। ৩২মন ওজনের ষাঁড়ের বয়স তিন বছর। তাকে বিক্রির জন্য সঠিক দাম পেতে ঢাকার গাবতলী হাটে তোলার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু লকডাউনের কারনে সেটা সম্ভব না হওয়ায় তিনি বেশ চিন্তিত। করোনার কারণে গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে প্রতিদিন ৮শ টাকা খরচ হয় ওর পেছনে। অনেক বেশি খরচ হওয়ায় এবছর বিক্রি করতেই হবে। কিভাবে ওকে বিক্রি করব দুশ্চিন্তায় ভুগছি। জয়পুরহাটের স্থানীয় হাটে এই বিশাল আকৃতির ষাঁড় বিক্রি করতে গেলে সঠিক মূল্য পাওয়া যাবে না বলেও জানান তিনি। 


একই মহল্লার আরও একটি ষাঁড়ের ওজন ২২ মণ সেটাও বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবাই দাম শুনে যাচ্ছে কেউ দাম করছেনা। আমরা চাই সরকার খামারিদের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে কোরবানির পশুর হাট করার অনুমতি দেয় তাহলে আমাদের গরু বিক্রি করতে পারবো বলে জানান ষাঁড়ের মালিক জাহিদ হাসান বেনু।


মৌসুমী ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন বলেন, সারা বছরই আমরা গরু কেনা-বেচা করে থাকি। কোরবানির আগে ভালো ব্যবসা হয়। করোনা কারণে হাট বসতে পারছে না। হাট না বসলে কোনোভাবেই ভাল ব্যবসা আশা করা যায় না। তবে সরকারিভাবে যদি সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে গবাদি পশুর হাটের ব্যবস্থা করে তাহলে ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যবসায়ী সবাই উপকৃত হবে।


পৌরসভার তিন নাম্বার নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিম মন্ডল বলেন খামারিদের মুখে কোন হাসি নেই। দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা। এখনও তেমন কোনো ক্রেতা আসছেন না। এই গরু পালনের জন্য সে অনেক টাকা খরচ করেছে করোনা পরিস্থিতি এরকম থাকলে এবং গরু’র দাম না বাড়লে এবার খামারিরা মাঠে মারা যাবে।


কালাই পৌরসভার মেয়র রাবেয়া সুলতানা কাজল বলেন পৌর এলাকায় ছোট বড় অনেক খামার রয়েছে। এসব খামারের মধ্যে থেকে এটাই সবচেয়ে বড় ষাঁড়। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাসহ আমরা চেষ্টা করছি সম্রাটসহ যেসব খামারির বেশি গরু রয়েছে, তাদের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও বড় ক্রেতাদের সংযোগ করিয়ে দেওয়ার। পশুর খামারিদের সঙ্গে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। সামাজিক দূরত্ব মেনে পশুর হাট বসানোর চিন্তাও রয়েছে।


উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ নুরুজ্জামান বলেন, উপজেলায় ছোট-বড় সকল খামারে এবছর ১৮হাজার ৮০৯টি গরু-ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যদি হাট হয় সেক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতারা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে সেদিকে আমরা খেয়াল রাখব। এছাড়াও উপজেলায় অনলাইনে ও লাইভ ওয়েটে কুরবানির গরু বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। অনলাইনেও পশু বিক্রির জন্য খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। খামারিরা তাদের গরুর ছবি, ওজন ও মূল্য নির্ধারন করে ফেসবুক পেজে পোষ্ট দেওয়ার মাধ্যমে ক্রেতারা সহজে গরু কিনতে পারবে। 


এদিকে অতিরিক্ত লাভের জন্য খামারিরা তাদের পশুকে ইনজেকশন বা অন্যকোনো ক্ষতিকারক খাবার না খাওয়ায় সেজন্য আমাদের মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।


আব্দুন নুর নাহিদ/ডেইলি জয়পুরহাট

কোন মন্তব্য নেই

Ads Place