Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

লকডাউন শিথিলের ঘোষণায় স্বস্তিতে পাইকার ও খামারিরা

আগামী ১৫-২২ জুলাই পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন পাইকার ও খামারিরা। তা...


আগামী ১৫-২২ জুলাই পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন পাইকার ও খামারিরা। তাঁরা আশাবাদী, শীঘ্রই পশুর হাট বসবে । 


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ইতোমধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে কোরবানির গরু-ছাগল বেচা প্রচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তাতে আশানুরূপ সাফল্য আসেনি। পশুর হাট না বসলে, বেশি সংখ্যক খামারিদের লোকসানের গুণতে হবে।

 

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, 

জেলায় এবার ঈদে বিক্রির জন্য ১২ হাজার খামারি ও গৃহস্থ পাবিবার মিলে- অন্তত দেড় লাখ গরু, ৬৮ হাজার ছাগল এবং ২০ হাজার ভেড়া পালন করেছেন। যেগুলো জেলার স্থায়ী ২১টি পশুরহাটসহ কোরবানির মোট ৩২টি পশুরহাটে বিক্রি করার কথা।  কিন্তু লকডাউনের কারণে হাটগুলো বন্ধ থাকায় খামারিরা পালন করা পশু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় আছেন। 

খামরিরা জানান, গো-খাদ্য, ওষুধ ও বিদ্যুৎসহ অন্যান্য খরচ বেড়েছে। দুই থেকে আড়াই মাস আগে কেনা প্রতিটি দেশীয় প্রজাতির গরু পালন করতে ইতোমধ্যেই ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।  এখুনি বাজারজাত করা গেলে, গরু প্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ থাকতো। কিন্তু হাট না বসাতে বাড়িতে পাইকাররা আসছেন না। দুএকজন আসলেও তারা দাম হাঁকেন কম। তাতে কোনো লাভ থাকেনা। 

আর পাইকাররা জানান, হাট না বসাতে খামারিরা ইচ্ছে মতো পশুর দাম হাঁকছেন। তার উপর আছে দালালদের দৌরাত্ম।  তাঁরা খামারিদের বিভ্রান্ত করছেন। ফলে প্রতিটি গরু ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেশি টাকায় কিনতে হচ্ছে।

সদর উপজেলার দক্ষিণ- বানিয়াপাড়া গ্রামের গরু রেজাউল ইসলাম জানান, তাঁর খামারে বিক্রির জন্য দেশীয় প্রজাতির ৬টি গরু আছে। এদের পিছনে প্রতিদিন ৯০০ টাকা খরচ হয়।

এ পর্যন্ত কেউ তাঁর গরু কিনতে আসেনি। ঈদে গরুগুলো বিক্রি করতে না পারালে তাঁকে অন্তত এক লাখ টাকা লোকশান গুণতে হবে। 

একই ধরনের মন্তব্য করেন ওই গ্রামের গরু পালনকারী এরশাদ, সাজু, খায়রুজ্জামান ও হাফিজুল। তাঁরা খামারিদের লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে পশুর হাট বসানোর দাবি জানিয়েছেন। 


গনকবাড়ির খামারি শাদমান আলিফ মিম জয় বলেন, “বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অনলাইন প্লাটফর্মেও বেচার চেষ্টা করছি কিন্তু এ মাধ্যমে ক্রেতাদের অনেকেই অভ্যস্ত নন। তেমন সাড়া পাচ্ছি না।”


ফেনি থেকে গরু কিনতে আসা পাইকার (গরুর ব্যাপারী) সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিবার ঈদে বাজার দেখে, তিনি ১৫-২০টি গরু কিনা বেচা করেন। তাতেই তাঁর এক থেকে দেড় লাখ টাকা লাভ হয়।  এবার হাট না বসাতে খামারিদের কাছ থেকে গরু কিনতে কষ্ট হচ্ছে। তাঁরা বেশি বেশি দাম হাঁকছেন। তিনিও প্রশাসনের নিকট  হাট বসানোর দাবি জানিয়েছেন। 


জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহফুজার রহমান জানান, জেলায় ৬টি অনলাইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৩ হাজার গরু এবং ৬ শত ছাগল বিক্রয় করা হয়েছে। যা অপ্রতুল। হাটের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টদের সভা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ আসলেই হাট বসবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম জানান, আপাতত পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। 


মো. আতাউর রহমান/ডেইলি জয়পুরহাট

কোন মন্তব্য নেই

Ads Place