জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই র্দীঘ ৮ বছর ধরে। ফলে এতোদিন সংগঠনটির যাবতীয় কার্যক্রম চলছে আহবায়ক কমিটির উপর ভর করে। ...
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই র্দীঘ ৮ বছর ধরে। ফলে এতোদিন সংগঠনটির যাবতীয় কার্যক্রম চলছে আহবায়ক কমিটির উপর ভর করে। এজন্য হতাশায় ভুগছেন, বিভিন্ন পদ প্রত্যাশী ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা ছাত্রলীগকে চাঙ্গা করতে, ২০১৩ সালের ২৭ সেপ্টম্বর তারিখে, তফিকুল ইসলাম তৌহিদকে আহবায়ক এবং সাইফুল ইসলাম ও আরিফুল ইসলামকে যুগ্ম আহবায়ক নির্বাচিত করে; ৩০ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এই উদ্দেশ্যে যে, এ আহবায়ক কমিটি তিন মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দিবে। তখন বিলুপ্ত হবে আহবায়ক কমিটি। কিন্তু তিন মাসের জায়গায়,অতিবাহিত হচ্ছে প্রায় আট বছর। দীর্ঘ এ সময়েও পূর্ণঙ্গ কমিটি উপহার দিতে পারেনি ওই আহবায়ক কমিটি। ফলে দিনের পরে দিন, দলে সময় ও শ্রম দেয়া, বিভিন্ন পদ প্রত্যাশী ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। উদ্ভত পরিস্থিতিতে, তারা দ্রত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন, সংগঠনের দায়িত্বশীল মহলের কাছে।
সংগঠনের পদ প্রত্যাশী ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থকরা জানান, চলতি বছরের ১৪ ফেব্রয়ারি কালাই পৌরসভা নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন, ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির আহবায়ক তফিকুল ইসলাম তৌহিদ। আবার ওই কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম ফকির বিয়ে করেছেন আর অপর যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম বর্তমানে মাত্রাই মডেল কলেজে প্রভাষক পদে চাকুরি করছেন। এ অবস্থায়, অনতি বিলম্বে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের আলোকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
কালাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক তফিকুল ইসলাম তৌহিদ জানান, স্থানীয় সরকার এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ব্যস্ততাসহ বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। তবে আশা করা হচ্ছে, দ্রততম সময়ের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা সম্ভব হবে।
জয়পুরহাট জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়ির সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আহবায়ক কমিটি গঠনের দীর্ঘ আট বছরেও কালাই উপজেলা ছাত্রলীগ গঠন করতে পারেনি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এর প্রভাবে অনেক মেধাবী ছাত্ররা ছাত্রলীগের পদ-পদবী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে সংগঠনে নেতিবাচক প্রভাব পরবে। আগামী দিনের ছাত্র রাজনীতি হতে পারে মেধা শূন্য।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া হোসেন রাজা জানান, জেলার কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সম্মেলন আহবান করার কিছু দিন পরেই দেশে করোনা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আশা করা হচ্ছে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে, গঠনতন্ত্রের আলোকে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হবে।
কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন জানান, দীর্ঘ আট বছরেও ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ার দায়টা তাদের উপরই বর্তায়। তবে দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে যত দ্রত সম্ভব উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এটিএম সেলিম সরোয়ার/ডেইলি জয়পুরহাট
কোন মন্তব্য নেই