Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

জয়পুরহাটে পাকা সড়কেই চলছে বোরো ধান কাটা মাড়াই

  জয়পুরহাটে পাকা সড়কেই চলছে শেষ দফার বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ। সদর উপজেলা, পাঁচবিবি এবং উপজেলার বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ প্রায় শেষ। এখন ...


 


জয়পুরহাটে পাকা সড়কেই চলছে শেষ দফার বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ। সদর উপজেলা, পাঁচবিবি এবং উপজেলার বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ প্রায় শেষ। এখন শেষ দফার বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ চলছে জেলার ক্ষেতলাল এবং কালাই উপজেলার কিছু কিছু ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, খাদ্যে উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে চলতি ২০২০-২০২১ রবি ফসল উৎপাদন মৌসুমে স্থানীয় কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলায় এবার ৬৮ হাজার ৭৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে । যার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৯ হাজার ৪২৫ হেক্টর । এতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ মে.টন। তিনি আরও জানান, জেলার প্রায় ৯৯ ভাগ ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। জেলার ক্ষেতলাল এবং কালাই উপজেলার কিছু কিছু ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় এখনও ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ চলছে। আগামী ৭-৮ দিনের মধ্যেই এ ধানগুলো কাটা মাড়াইয়ের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 


সরেজমিনে এলাকার কৃষক ও কৃষাণীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জেলার কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলার কৃষক কৃষাণীরা এখন ধান কাটা মাড়াই নিয়ে বেশ দুর্ভোগের মধ্যে আছেন। কারণ বৈরী আবহাওয়ার কারণে এখন প্রায় প্রতিদিনই কম বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। আর এর প্রভাবে নাকাল হচ্ছে কৃষক ও কৃষাণীরা। বৃষ্টির জন্য উঠানে জমছে পানি। উঠান হচ্ছে কর্দমাক্ত। ফলে সুষ্ঠুভাবে ধান কাটা মাড়াই করতে না পারায়, নষ্ট হচ্ছে ধান এবং খড়। অবশ্য যে যে পাড়া-মহল্লার রাস্তা পাকা; তারা ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ সম্পন্ন করছেন সড়কে। সড়কেই শুকনো হচ্ছে ধান এবং খড়। আর সড়কে ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ করাসহ খড় এবং ধান শুকনোর কারণে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। এছাড়াও মোটরসাইকেল, বেটারি চালিত ভ্যান, অটোরিকশা, সিএনজি, মাইক্রোবাস, ট্রাক, বাসসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কালাই উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম এবং মাত্রাই মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন মণ্ডল জানান, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এ এলাকার বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে প্রতিদিন বৃষ্টি হওয়ায়, ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। কৃষকরা বাধ্য হয়ে গ্রাম-মহল্লার ভিতর দিয়ে, বা পাশ দিয়ে অতিক্রম করা পাকা রাস্তায় ধান কাটা মাড়াই করছেন। আর ধান বা খড় শুকানোর কাজও করছেন পাকা রাস্তার উপর। অবশ্য এ কারণে পথচারী ও যানবাহন চালকদের কিছুটা ঝামেলাও পোহাতে হচ্ছে। 

জেলার কালাই উপজেলার বফলগাড়ী গ্রামের সানোয়ার প্রধান, তসলিম ফকির, বেলাল প্রামাণিক ; মাত্রাই গ্রামের আব্দুল আালিম, আমজাদ হোসেন, আব্দুল কাদের, আইন উদ্দিন, আব্দুল লতিফ ; শাইলগুন গ্রামের আলিম, রমযান আলী, উদয়পুরের রেজাউল, গারামতলার সাইদুর রহমান, ক্ষেতলাল উপজেলার তারাকুল গ্রামের হাশেম আলী, আব্দুস ছামাদ; বাঘোপাড়া গ্রামের মোকাররম হোসেন, গোলাম রাব্বানীসহ অনেকে জানান, আলু এবং সরিষা চাষ করা জমিতে পরে ধান লাগানো হয়। এখন ওই জমিগুলোর ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ চলছে। শেষ সময়ে ধান কাটা মাড়াই করতে গিয়ে তারা বিপাকে পড়ছেন। তাদের কাজে বাধ সাধেছে বৃষ্টি। উঠানে কাদা, পানি জমেছে। তাই বাধ্য হয়ে তারা পাকা রাস্তায় ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ করছেন। পরে ধান এবং খড় শুকানোর কাজও করছেন পাকা রাস্তায়। অটোরিকশা চালক মোজাম, মিন্টু ও রবিউল ; সিএনজি চালক জাহিদুল ও সোহেল, ট্রাক চালক আলম ও কাসেম, মোটরসাইকেল চালক মতিয়র রহমান ও রাইহান আলীসহ অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাস্তার উপর ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ করায় চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। সময় লাগছে বেশি। যাত্রীদের পোশাক নোংরা হচ্ছে। খড়কুটো চোখে পড়ছে। খানাখন্দ খড় দিয়ে ঘাকা থাকায় অনেক সময় ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। 


ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নীরেন্দ্রনাথ মণ্ডল এবং কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক জানান, প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে কৃষকরা পাকা রাস্তায় বিশেষ করে জয়পুরহাট -বগুড়া সড়কসপ বিভিন্ন সংযোগ সড়কগুলোতে ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ করছেন। এতে করে কৃষকরা সুফল পাচ্ছে কিন্তু দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী ও চালক। কৃষকরা যাতে করে একটু দূরত্ব বজায় রেখে অর্থাৎ ফাঁকে ফাঁকে ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ করে, সে বিষয়ে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টুকটুক তালুকদার জানান, এলাকায় পাকা রাস্তার উপরে ধান কাটা মাড়াইয়ের যে রেওয়াজ তৈরি হয়েছে, তা একবারে বন্ধ করা কষ্টকর। তবে স্ব- স্ব এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা এবং জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


মো. আতাউর রহমান।

কোন মন্তব্য নেই

Ads Place