Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

কালাইয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে বারমাসি তরমুজ চাষ

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় বারমাসি তরমুজ চাষ দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অল্প বিনিয়োগে বেশি মুনাফা লাভ হওয়ায় উপজেলায় তরমুজ চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। ...

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় বারমাসি তরমুজ চাষ দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অল্প বিনিয়োগে বেশি মুনাফা লাভ হওয়ায় উপজেলায় তরমুজ চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। তীব্র তাপদাহে ও রমজান মাসে রসালো এই ফলের কদর যেনো আরও বেড়ে যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার হাজিপাড়া, নওপাড়া, বেগুনগ্রাম, থল গ্রামের হাটপুকুরিয়া, করিমপুর, রাধানগর, শান্তিনগরে মালচিং পদ্ধতিতে এ তরমুজ চাষ হচ্ছে। মাচায় ঝুলছে হলুদ ও কালো রঙের তরমুজ। সবুজ পাতার মধ্যে যেদিকে চোখ গেছে, শুধু হলুদ ও কালো তরমুজ ঝুলতে দেখা গেছে। হলুূদ তরমুজের উপরিভাগ হলুদ ও কালো তরমুজের উপরিভাগ কালো রঙের হয়ে থাকে। ভেতরে টকটকে লাল। স্বাদে মিষ্টি ও সুস্বাদু। এরমধ্যে অনেক তরমুজগাছে তরমুজ ধরেছে সেগুলো খাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠেছে। 

উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজান মাস ও তীব্র তাপদাহে কারণে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি। একটি ২ কেজি তরমুজ কিনতে গেলে ১৩০ টাকা ও ৫ কেজি তরমুজ কিনতে ২৫০-৩০০ টাকা পড়ে যাচ্ছে। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলায় ব্লাক কিং, মধুমালা, ব্লাক বেবি, তৃপ্তি, অনুভব ও গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজ প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। কৃষকদের মাঝে তরমুজ চাষে উৎসাহিত করতে উপজেলা কৃষি বিভাগ নানা উদ্যােগ হাতে নিয়েছে। এরমধ্যে সেক্স পেরিমন জৈবিক পদ্ধতিতে পোকা দমন অন্যতম। এই পদ্ধতিতে পরিবেশের কোন ক্ষতি না হওয়ায় এবং খরচ কম হওয়ায় কৃষকদের মাঝে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

উপজেলার হাজিপাড়ার কৃষক বাবলু মিয়া বলেন, ২ বিঘা (৩৩ শতাংশ ১ প্রতি বিঘা) জমিতে আমার তরমুজখেত। ৫০ দিন আগে উপজেলার কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় গোল্ডেন ক্রাউন বীজ সংগ্রহ করে এনে বীজ বপন করেন। এই তরমুজের গায়ের রং হলুদ। এ পর্যন্ত জমি প্রস্তুত, সার, বীজ, মাচা, সুতা ও জাল বাবদ তাঁর খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা। ৭ দিন পরই তরমুজ খাওয়ার উপযোগী হবে। এবছর তীব্র তাপদাহে অনেক তরমুজগাছ মারা গেছে, তারপরও তরমুজখেত থেকে ৫ লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন। 


কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, ব্লাক বেবি ও ব্লাক কিং জাতের তরমুজ ৭০ শতক জমিতে চাষ করেছি। এই তরমুজের গায়ের রং কালো। ভেতরে লাল টকটকে। এবছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় রোগ বালাই কিছুটা বেশি তবে তরমুজের এরকম দাম থাকলে ৬ লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন।


চাষিরা বলছেন, ব্লাক কিং, ব্লাক বেবি, গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ সারা বছর চাষ করা যায়। অল্প জমিতে অধিক ফলন হয়। লাভও ভালো পাওয়া যায়। তাই এটির আবাদ বাড়ানোর আগ্রহ তাঁদের। এ জন্য তাঁরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও পৃষ্ঠপোষকতা চান।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নীলিমা জাহান জানান, খরিপ-১ মৌসুমে উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। তরমুজ চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। 


রাব্বিউল হাসান রমি/ডেইলি জয়পুরহাট

 

1 টি মন্তব্য

Ads Place