জয়পুরহাটের কালাইয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামি কে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব ৫)জয়পুরহাট ক্য...
.jpg)
জয়পুরহাটের কালাইয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামি কে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব ৫)জয়পুরহাট ক্যাম্প। শনিবার (২০সেপ্টেম্বর) সাড়ে তিনটার দিকে কালাই উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের বাখড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
হত্যা মামলার আটককৃত আসামি হলেন, উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কুজাইল গ্রামের মোঃ মুনছুর আলীর ছেলে হাফিজার রহমান লিটন।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পৌনে এগারোটায় র্যাব ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ০২ জানুয়ারি তারিখ বিকাল পৌনে চার ঘটিকায় কালাই থানাধীন পূর্ব কুজাইল খানপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালেক খান আলুর জমিতে সার দেয়ার কথা বলে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরবর্তীতে রাত নয়টা পর্যন্ত বাড়িতে ফেরৎ না আসলে তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে কোন সন্ধান পায়নি। গত ৩ জানুয়ারি সকালে ঐ এলাকার বুলু মহরির আলু ক্ষেতে লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা পরে আব্দুল মালেক এর পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আব্দুল মালেক এর লাশ সনাক্ত করে।
র্যাব জানায়, ভিকটিমের ছেলে মো: সিদ্দিকুর রহমান (৩৯) এর সংবাদের ভিত্তিতে কালাই থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়। এর পরে ভিকটিমের ভিসারা রিপোর্ট আসে অবস্থা অবহিত হওয়ার পর বাদী বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য কালাই থানা অফিসার ইনচার্জ কে নির্দেশ প্রদান করেন। বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডির উপর তদন্তভার ন্যাস্ত করেন। সিআইডি জয়পুরহাটের সংশ্লিষ্ট মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তার অধিযাচনের প্রেক্ষিতে র্যাব-৫ সিপিসি-৩ এর একটি আভিযানিক দল ঘটনার সহিত জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় এবং আসামিকে ধরতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে আসামিকে জয়পুরহাট জেলার সিআইডির নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
মোঃ আব্দুল হাই।
কোন মন্তব্য নেই