২২ বছর বয়সী সীমা রানী মহন্ত। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট মালিপাড়া গ্রামের এই তরুণীর জীবনে অকালেই নেমে এসেছে অন্ধকার। ১৯ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছ...
২২ বছর বয়সী সীমা রানী মহন্ত। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট মালিপাড়া গ্রামের এই তরুণীর জীবনে অকালেই নেমে এসেছে অন্ধকার। ১৯ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছে। বিয়ের এক বছরের মাথায় গর্ভে সন্তান ধারণ করেন, কিন্তু চার মাসেই সন্তানের মৃত্যু হয় গর্ভেই। চিকিৎসার সময়ই ধরা পড়ে ডায়াবেটিস। এরপর জানা যায় দুটি কিডনিই সম্পূর্ণ বিকল হয়ে গেছে।
তখন থেকে চলছে নিয়মিত ডায়ালাইসিস। প্রতি সপ্তাহে খরচ হয় ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। পরিবার এরই মধ্যে ব্যয় করেছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। বিক্রি হয়েছে সোনা, গরু-ছাগল, জমিজমা। আছে শুধু বসতভিটা। বাবা অসুস্থ, উপার্জনে অক্ষম। দুই ভাই ছোট দোকান চালিয়ে কোনোমতে সংসার চালান। সীমা এখন বাবার বাড়িতেই পড়ে আছেন। স্বামী তাঁকে সেখানেই রেখে গেছেন।
সীমা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমিও বাঁচতে চাই। এই সুন্দর পৃথিবীটা ছেড়ে যেতে চাই না। কিন্তু চিকিৎসার টাকা আর জোগাড় করতে পারছি না। কেউ কি একটু সাহায্য করবেন?’
সীমার মা রিনা রানী মানুষজনের কাছে করজোড়ে মেয়ের প্রাণ বাঁচাতে সহানুভূতি ও সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
আতাউর রহমান।
কোন মন্তব্য নেই