স্বেচ্ছায় সহায়তা রশিদ, সেখানে লেখা বাংলাদেশ ছাত্র সমন্বয়ক জয়পুরহাট জেলা শাখা। নামসহ ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে। আরও লেখা আছে, ‘এই দান আ...
স্বেচ্ছায় সহায়তা রশিদ, সেখানে লেখা বাংলাদেশ ছাত্র সমন্বয়ক জয়পুরহাট জেলা শাখা। নামসহ ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে। আরও লেখা আছে, ‘এই দান আপনাদের কাজেই আসবে নিঃসন্দেহে দান করুন। নিজে সুবিধা পান ও অন্যকে সাহায্য করুন।’
জয়পুরহাট এমন রশিদ বানিয়ে তোলা হচ্ছিল চাঁদা। তবে খবর পেয়ে তা প্রতিহত করেছে সেনাবাহিনী। আটক করা হয়েছে ওই যুবককে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সুমন কুমার মন্ডল (২৯) নামের ওই যুবককে আটক করা হয়। আটক সুমনের বাড়ি সদর উপজেলার পুরানাপৈল ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে। তাকে আটকের পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থী ও সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, সুমন নামের এই ব্যক্তি ছাত্র সমন্বয়কদের নামে সহায়তা রশিদ বানিয়ে পুরানাপৈল বাজারে গত দুদিন ধরে চাঁদা তুলছেন। চাঁদা নেওয়ার পর তার বানানো রশিদ দিচ্ছিল। সঙ্গে সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার নামে হাতে লেখা কাগজও ছিল। স্থানীয়রা বিষয়টি সেনাবাহিনীদের জানায়। সেনাবাহিনী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ডেকে বিষয়টি যাচাই করেন। পরে গতকাল সোমবার বিকেলে পুরানাপৈল বাজার এলাকায় আবারও সুমন চাঁদা তুলতে আসলে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী গিয়ে তাকে আটক করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শিক্ষার্থী হাসিবুল হক সানজিদ বলেন, বিভিন্ন স্থানে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। এসব প্রতিহত করতে আমরা শিক্ষার্থীরা কাজ করছি। চাঁদাবাজদের ছাড় না দেওয়ার জন্য আমরা বদ্ধ পরিকর।
জয়পুরহাটের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর মেজর রেজা আহমেদ বলেন, সুমন নামের ওই যুবক ছাত্র সমন্বয়কদের নামে রশিদ বানিয়ে চাঁদা তুলছিল। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার নামে একটি হাতে লেখা কাগজও বানিয়েছিল। সমন্বয়কদের রশিদ দেখিয়ে দুদিন ধরে পুরানাপৈল বাজার এলাকায় তিনি চাঁদা তুলেছেন। কেউ না দিয়ে তাকে সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার নামে হাতে লেখা কাগজ দেখিয়ে ভয় দেখানো হতো। আমরা তাকে আটক করেছি। পরে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় হস্তান্তর করেছি।
জয়পুরহাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মইনুল ইসলাম বলেন, ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গতকাল সোমবার রাতে মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
চম্পক কুমার।
কোন মন্তব্য নেই