Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

জয়পুরহাট জেলা ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

চাঁদা দাবির এক লাখ টাকা না দেওয়ায় জহুরুল ইসলাম (৩৩) নামে ব্র্যাকের একজন কর্মকর্তাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আবু বকর সিদ্দিক রেজা ( ৩২ )...

চাঁদা দাবির এক লাখ টাকা না দেওয়ায় জহুরুল ইসলাম (৩৩) নামে ব্র্যাকের একজন কর্মকর্তাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আবু বকর সিদ্দিক রেজা ( ৩২ ) নামে একজন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। গত সোমবার বিকেল পৌঁনে ৪টায় ঘটনাটি ঘটে জেলা শহরের বাটার মোড় এলাকায়। তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখনো আসামি আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এ ঘটনায় সোমবার রাতেই সদর থানায় বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে এজাহার করেছেন ব্র্যাকের আঞ্চলিক বিপণ কর্মকর্তা মো. সেলিম উর রহমান।

আহত ব্র্যাক কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ সুখদেবপুর গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ছেলে। 

আর অভিযুক্ত ছাত্রনেতা আবু বক্কর সিদ্দিক রেজা জয়পুরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার দামগর গ্রামের মৃত বাবলু মিয়ার ছেলে। 

জয়পুরহাট সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) গোলাম সারোয়ার মামলা হওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, 'এ ঘটনায় মামলার আসামি পলাতক রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে গ্রেপ্তারের জন্য  জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।'

এজাহারে বাদি উল্লেখ করেছেন, তাঁর সহকর্মী জহুরুল ইসলাম ব্র্যাক সিড অ্যান্ড এগ্রো এন্টারপ্রাইজ বিভাগে জয়পুরহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন পাইকারী ও খুচরা দোকানে আলুর বীজ সরবরাহের দায়িত্বে আছেন। 

এজহারের সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, মারপিটের এ ঘটনার প্রায় ১০ দিন আগে আবু বক্কর সিদ্দিক রেজা তাঁর  নিজ ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্র্যাক কর্মকর্তা জহুরুল ইসলামকে ফোন দিয়ে ১০ বস্তা আলুর বীজসহ এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেই সাথে ভয়ভীতিসহ প্রাণ নাশের হুমকি দেন তিনি। এবং সন্ধ্যার পরে জেলার বাটার মোড় ওই কর্মকর্তাকে দেখা করতে বলেন। সেখানে দেখা করলে তাঁর কাছ থেকে চাঁদা দাবির এক লাখ টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু   জহুরুল ইসলাম টাকা দিতে অসম্মতি জানান। তখন ব্র্যাক কর্মকর্তা জহুরুল ইসলামের কাছে থাকা নগদ বিশ হাজার টাকা চাঁদা হিসেবে হিসেবে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এবং আরও ৫০ হাজার  টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। তখন টাকা দিতে অস্বীকার করায়,জহুরুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি মারপিট করা হয়। এতে তিনি  গুরুত্বর জখম হোন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল ভর্তি করে দেন।

মামলার বাদি সেলিম উর রহমান বলেন, 'ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলাম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বিষয়টি আমাকেসহ ব্র্যাক সিড অ্যান্ড এগ্রো এন্টারপ্রাইজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান। এরপর  উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ পেয়ে রাতেই আবু বক্কর সিদ্দিকসহ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে আমি সদর থানায় মামলা করেছি।'

আসামি আবু বক্কর সিদ্দিকের ব্যবহৃত দুটি মোবাইলে ফোন করা হয়। কিন্তু সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তাঁর বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া হোসেন রাজা বলেন,  'জয়পুরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক রেজার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়েরের বিষয়টি জেনে বিব্রত হয়েছি।'

মো. আতাউর রহমান।



 

কোন মন্তব্য নেই

Ads Place