‘আমার মাইজ্যা ভাই, সাইজ্যা ভাই, কই গেলা রে, চল যাই ক্ষেতে ধান কাটিতে'- জনপ্রিয় এই গানের তালে তালে নৃত্য পরিবেশের মধ্যে দিয়ে জয়পুরহাটের প...
জনপ্রিয় এই গানের তালে তালে নৃত্য পরিবেশের মধ্যে দিয়ে জয়পুরহাটের পালিত হয়েছে নবান্ন উৎসব। বুধবার বিকেলে শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। জয়পুরহাট নবনাট্য সংঘ, এ. কে. এম আব্দুল আজিজ সংগীত ভুবন এবং একুশে আবৃত্তি পরিষদ সম্মিলিতভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
‘কাটিয়া আনোরে ধান, আগোনে হবে নবান, নয়ালী ধানের ক্ষীর পিঠা ও পাকান।’ -শীর্ষক গানের ব্যানারে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে নবান্ন উৎসব উপলক্ষে নাচ-গান আবৃত্তি ও গীতিনাট্যের আয়োজন করা হয়। আর এমন আয়োজন দেখতে অনুষ্ঠানে ভিড় করেছিলেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দিলিপ সেনের সঞ্চালনায় দর্শকদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ওই ত্রয়ী সংগঠনের সভাপতি রাজা চৌধুরী। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, 'নবান্ন উৎসব মূলত কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের কৃষকের উৎসব। এ সময়ে কৃষকের ঘরে নতুন ধান উঠে। আর নতুন ধানের গন্ধে আমোদিত হয়ে উঠে বাংলার গ্রামাঞ্চল। নগরায়নের ফলে আমরা যেন এ উৎসবগুলোকে হারিয়ে না ফেলি। এ অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে, আমরা চিরায়ত গ্রাম বাংলার নবান্ন উৎসবকে- নগরবাসীর সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।'
একুশে আবৃত্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লালন হোসেন বলেন, 'এদেশের ৮০ ভাগ লোক গ্রামে বাস করেন। তাঁরা পেশায় কৃষক।সেই কৃষকদের প্রধান উৎসব নবান্নকে নগরবাসীর সামনে উপস্থাপন করাই আমাদের আয়োজনের মূল লক্ষ্য।'
'এ.কে.এম আব্দুল আজিজ সংগীত ভুবন' সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তামান্না ইয়াসমিন বলেন, 'নবান্নের অনুষ্ঠান কি? সেগুলোই আমরা মানুষকে জানাতে চাই। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদেরকে জানাতে চাই। এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে নগরবাসী তাঁদের মনে গ্রামীণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করবে।'
দর্শক শিপন দেবনাথ বলেন, 'অনুষ্ঠানে এসে, সবকিছু দেখে, উপভোগ করতে পেরে- আমার খুব ভালো লাগলো। গ্রামীণ উৎসব আমেজ আর পুরোনো দিনের কথা মনে নাড়া দিল। এমন আয়োজন বেশি বেশি করার দাবি জানাচ্ছি।'
মো. আতাউর রহমান।
কোন মন্তব্য নেই