Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

বিদ্যালয়ে গোপন ক্যামেরা নিয়ে ঘুরছিলেন নিরাপত্তাপ্রহরী, অতঃপর...

বিদ্যালয়ের নিরাপত্তাপ্রহরীর কাছে গোপন ক্যামেরা দেখতে পেয়ে শিক্ষিকা কারণ জানতে চান। এটা নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি ...

বিদ্যালয়ের নিরাপত্তাপ্রহরীর কাছে গোপন ক্যামেরা দেখতে পেয়ে শিক্ষিকা কারণ জানতে চান। এটা নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে নিরাপত্তাপ্রহরী দৌড়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে আশ্রয় নেন। এরপর সেখানে তাঁদের অবরুদ্ধ করে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে নিরাপত্তাপ্রহরীকে কলম আকৃতির গোপন ক্যামেরাসহ আটক করে। পরে ডিভাইসটি জব্দ করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

রোববার দুপুরে জয়পুরহাটে কাশিয়াবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই নিরাপত্তাপ্রহরীর নাম জাকির হোসেন।

পুলিশ, স্থানীয় ব্যক্তিরা ও বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার সঙ্গে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির একটি পক্ষের দ্বন্দ্ব চলছে। এ কারণে বিদ্যালয়টির কয়েকজন সহকারী শিক্ষকের সঙ্গেও প্রধান শিক্ষকের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। যেকোনো সময় সহকারী শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির একটি পক্ষের লোকজন তাঁকে লাঞ্ছিত করতে পারেন বলে আশঙ্কা করছিলেন প্রধান শিক্ষক। ঘটনার প্রমাণ রাখতে নিরাপত্তাপ্রহরী জাকিরকে তিনি গোপন ক্যামেরা কিনে দিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, জাকির হোসেন গোপন ক্যামেরা নিয়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষকদের কক্ষে যাতায়াত করে আসছিলেন। প্রধান শিক্ষকের মদদে তিনি গোপন ক্যামেরায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চলাফেরার দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে আসছিলেন। এ কারণে তাঁরা কয়েকবার জাকির হোসেনকে সতর্কও করেন। আজ দুপুরে জাকির হোসেনের কাছে গোপন ক্যামেরা দেখতে পান একজন শিক্ষিকা। তাঁর কাছে এর কারণ জানতে চাইলে এটা নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তি হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে জাকির হোসেন দৌড়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার কক্ষে আশ্রয় নেন। এরপর শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক ও নিরাপত্তাপ্রহরী জাকিরকে ওই কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখান থেকে ডিভাইসটিসহ জাকিরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ডিভাইসটি জব্দ করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে নিরাপত্তাপ্রহরী জাকির হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার কাছে ডিভাইস ছিল। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কারও চলাফেরার কোনো দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করিনি। আমি প্রধান শিক্ষকের কথা শুনি। এ কারণে অন্য শিক্ষকেরা আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আমাকে প্রধান শিক্ষক ডিভাইসটি কিনে দেননি। অনেক আগে থেকে আমার কাছে এটি ছিল।’

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বিদ্যালয়ের নিরাপত্তাপ্রহরী জাকির এসি মেরামতের কাজও করেন। একজন ব্যক্তি ডিভাইসটি মেরামত করতে দিয়েছিলেন বলে জেনেছি। আমি কাউকে ডিভাইস কিনে দিইনি।’

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলমগীর জাহান বলেন, নিরাপত্তাপ্রহরী গোপন ক্যামেরায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলাফেরার দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সেখান থেকে গোপন ক্যামেরাসহ নিরাপত্তাপ্রহরীকে আটক করে থানায় আনা হয়। তবে ক্যামেরাটি পরীক্ষা করে কোনো ছবি বা ভিডিও পাওয়া যায়নি। এ কারণে ওই নিরাপত্তা প্রহরীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

রবিউল ইসলাম রুবেল।



কোন মন্তব্য নেই

Ads Place