সান্তাহারে ট্রেনে যাওয়ার সময় আবদুর রহমান নামে কর্তব্যরত জুনিয়র এক টিটিইকে (ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক) মারধরের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্...
শুক্রবার (৪ মার্চ) দুপুরে সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিউল আযম তাদের প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে সান্তাহার জংশনের পার্শ্ববর্তী আক্কেলপুর স্টেশন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
এ দুজন হলেন নওগাঁর আত্রাইয়ের শাহাগোলা গ্রামের বাবুল হাসানের ছেলে আজিজুল ইসলাম ও একই গ্রামের হেলাল উদ্দীনের ছেলে নাঈম হোসেন। আজিজুল বগুড়া পুলিশ লাইন্সে কনস্টেবল পদে এবং নাঈম আরেকটি বাহিনীতে কর্মরত। তারা দুজনেই ছুটিতে ছিলেন।
ভুক্তভোগী টিটিই আব্দুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড়-ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি থেকে নওগাঁর আত্রাইয়ের আহসানগঞ্জ স্টেশনে যাচ্ছিলেন ওই দুজন। ট্রেনটি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর এলাকায় পৌঁছালে আমি তাদের টিকিট দেখতে চাই। টিকিট দেখাতে না পারায় জরিমানাসহ তাদের টিকিটের মূল্য দিতে বলা হয়। এ সময় নাঈম হোসেন আমার শার্টের কলার চেপে ধরেন এবং আজিজুল ইসলাম কিলঘুষি মারতে শুরু করেন।
আব্দুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ট্রেনে দায়িত্বরত রেল পুলিশ তাদের আটক করে বিকেলে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় নিয়ে যায়। এ নিয়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে একটি বৈঠক হয়। এরপর ওই দুজনের ছুটি বাতিল করে তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী টিটিই বলেন, দুজনের বাড়িই নওগাঁর আত্রাইয়ের শাহাগোলা গ্রামে। তারা প্রশাসনে চাকরি করেন। কিন্তু ট্রেনে আমাকে তারা পরিচয় দেননি। এমন ঘটনায় আমি হতভম্ব ও আশ্চর্য হয়েছি।
সান্তাহার জংশনের স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ডালিম বলেন, ট্রেনে কর্তব্যরত টিটিইকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার ঘটনায় বগুড়া পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের ছুটি বাতিল করে সান্তাহার রেলওয়ে থানা থেকে বগুড়া পুলিশ লাইনে এবং অভিযুক্ত অপরজনকে সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিউল আযম বলেন, অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্ব-স্ব দপ্তরে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই