জনবহুল স্থান, বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক, শপিংমল কিংবা মার্কেটের সামনে অবস্থান করে মোটরসাইকেল মালিক বা চালকের অবস্থান ও গতিবিধি লক্ষ্য করে চু...
সম্প্রতি জয়পুরহাট জেলা শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকের সামনে থেকে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্যে এমনটা জানা গেছে।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফ্রিং করে এসব তথ্য জানান জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা।
গ্রেপ্তাররা হলেন- জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌরসভার ফকিরপাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে তুহিন হাসান (২১), একই এলাকার আতোয়ার হোসেনের ছেলে নাদিম হাসান (১৯), মুন্সিপাড়া এলাকার আতিকুজ্জামানের ছেলে লাবিব হাসান (২০) ও ফকিরপাড়ার আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. শাওন (২৫)।
প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ৭টার দিকে জেলা শহরের ধানমন্ডি পূর্ববাজার এলাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারি ক্লিনিকের সামনে থেকে একটি ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি জয়পুরহাট থানায় মামলা করেন মোটরসাইকেলের মালিক গোলাম মর্তুজা। এরপর পুলিশ তুহিন ও নাদিমকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের হেফাজতে থাকা ওই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে লাবিব ও শাওন নামে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, ১০-১২ জনের একটি গ্রুপ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। মোটরসাইকেল চুরিতে দুটি মাস্টার কি ব্যবহার করতেন তারা। ওই মাস্টার কি দিয়ে এক মিনিটেই মোটরসাইকেল চুরি করে পালিয়ে যেতেন। এর আগেও বেশ কিছু মোটরসাইকেল জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন জেলা থেকে চুরি করে বিক্রি করেছেন তারা।
এ চক্রের অজ্ঞাতনামা আরও কিছু সদস্য রয়েছে। তাদের তত্ত্বাবধানে থাকা মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার ও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোসফেকুর রহমান, জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলমগীর জাহান, কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহেদ আল-মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চম্পক কুমার।
কোন মন্তব্য নেই