জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের গ্রামীন বেশির ভাগ রাস্তা অপ্রশস্ত হওয়ায় ওই সব ঘন বসতিপূর্ণ এলাকার মানুষ ছোট/বড় যানবাহন নিয়ে চলাচল...
ক্ষেতলাল উপজেলা দেশের শস্য ভান্ডার হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। এলাকার কৃষি উৎপাদিত পণ্য জমি থেকেই ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকে। সে কারণে এই এলাকার কৃষক ও ব্যবসায়ীরা কৃষি পণ্য পরিবহনে ট্রাকের ওপর নির্ভরশীল। উপজেলার গ্রামীন রাস্তাগুলো অপ্রশস্ত হওয়ার কারনে ওই সব রাস্তা দিয়ে ট্রাক চলাচল অযোগ্য হয়ে পরেছে। এ মৌসুমে আলুর বাজারে ধস তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা সরু রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন তাদের উৎপাদিত পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। এমনিতেই সরু রাস্তা, তার ওপর ট্রাক থামিয়ে রাস্তায় আলুর বস্তা লোড ও আনলোড করার ফলে ওই রাস্তা দিয়ে অন্য কোন যানবাহন চলাচল করা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন ও পৗর এলাকার বেশির ভাগ রাস্তা অপ্রশস্ত হওয়ায় চার ইউনিয়নের প্রায় ৫০ কিলোমিটার রাস্তা অপ্রশস্ত হওয়ায় ওই এলাকার সব ধরণের যান চলাচল ও কৃষি পন্য পরিবহনে চরম ভোগান্তিতে পরেছে কৃষক।
উপজেলার বড়াইল ইউপি চেয়ারম্যান আবু রাশেদ আলমগীর বলেন, সরু রাস্তার ওপর ট্রাক থামিয়ে কৃষিজাত পণ্য লোড আনলোড করার কারণে পথচারী ছোট যানবাহন চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া কৃষি পন্য পরিবহনে ভোগান্তি হওয়ায় বাহিরের আড়তদারেরা এ এলাকায় আসতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেনা। ফলে কৃষকেরা আলুর ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না।
উপজেলার পাঁচখুঁপী গ্রামের আলু ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, কিছু কিছু এলাকার রাস্তা এত’ই সরু যে মালামাল বোঝাঁয় ট্রাক রাস্তা ক্রসিং করা একে বারেই সম্ভব হয় না। সে কারনে ওই সব এলাকার কৃষকদের পণ্য বাজার থেকে কম মূল্যে কেনাবেচা করতে হয়।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল বলেন, বিষয় গুলো মাননীয় হুইপ মহোদয় আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন অবগত আছেন। তিনি ওইসব রাস্তা পর্যায় ক্রমে প্রশস্তকরণের ব্যবস্থা নিবেন। আশাকরি পর্যায় ক্রমে এসব সমস্যা সমাধান হবে।
মিজানুর রহমান।
কোন মন্তব্য নেই