জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার জয়পুর বহুতি গ্রাম হতে মানবদেহের কিডনি কেনাবেচা চক্রের মুল হোতাসহ দালাল চক্রের ৯জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ব...
বুধবার (১২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের ভিতরে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সভা কক্ষে জয়পুরহাট র্যাব-৫ সিপিসি-৩ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোঃ জিয়াউর রহমান তালুকদার।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জয়পুরহাট কালাই উপজেলার উলিপুর গ্রামের মৃত আবু সাইদ আকন্দের ছেলে খাজা ময়েনউদ্দিন (৪৪), আবুজার রহমানের ছেলে আজাদুল ইসলাম (৩৭), বহুতি গ্রামের বোরহান উদ্দিনের ছেলে আব্দুল করিম ফোরকান আলী (৪৫), পাইকপাড়ার মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে আফসার মন্ডল (৫৬), মৃত আছির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে নুরুল ইসলাম (৫০), পূর্ব কৃষ্টপুর গ্রামের মৃত আবু বক্কর ফকিরের ছেলে বাবলু ফকির (৫২), দুধাইল নয়াপাড়ার আব্বাস আলী মন্ডলের দুই ছেলে সোবহান মন্ডল (৫২), মজাহিদুল মন্ডল (৪০), ও মৃত মোখলেছার রহমানের ছেলে সাজেদুল ফকির (৩৭)।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মো. জিয়াউর রহমান তালুকদার জানান, এই সংঘবদ্ধ কিডনি ক্রয় বিক্রয় চক্রটি বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গরীব, দরিদ্র ও আর্থিক-অনটনে জর্জরিত মানুষদের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের দেহ থেকে কিডনি সংগ্রহ করে। সংগ্রহকৃত কিডনিগুলোর গ্রাহক প্রধানত দেশের ধনী পরিবার ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর। ঢাকা থেকে নিয়ন্ত্রিত চক্রটি বিভিন্ন ধাপে ভিকটিমদের কিডনি গ্রাহক শ্রেণির কাছে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সরবরাহ করে থাকে।
ভিকটিমরা শুধুমাত্র মোটা অঙ্কের টাকার লোভেই উক্ত কাজে করে পরে প্রতারিত হয়। কিন্তু কিডনি নিয়ে চক্রটি চুক্তি মোতাবেক পাওনা পরিশোধ করে না। পরবর্তীতে ভিকটিমরা টাকা চাইলে তাদের প্রাণনাশের হুমকি সহ আইনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। এমন বিভিন্ন অভিযোগে গতরাতে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল কালাই উপজেলার জয়পুর বহুতি, বৈরাগীহাট, মোসলেমগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় কিডনি চক্রের সঙ্গে জড়িত মুল হোতাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব অধিনায়ক আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের নামে পূর্বের মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন মোতাবেক এক বা একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
হারুনুর রশীদ।
কোন মন্তব্য নেই