জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে যৌতুকের বলি হলেন ফরিদা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূ। তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী শ্বশুর ও শাশুরীর ...
শনিবার ভোর ৪টায় পৌর এলাকার বুড়াইল গ্রামের আঃ গফুরের ছেলে সোহেল রানা (২৮), তার বাবা আঃ গফুর (৫০), মা হাজেরা ওরফে শিরিনা (৪৫) মিলে নিজ বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটায়। এলাকাবাসীর দাবী ফরিদাকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, সাত বছর আগে একই গ্রামের মোফাজ্জল মন্ডলের মেয়ে ফরিদা খাতুনকে প্রতিবেশি আঃ গফুরের ছেলে সোহেল রানার সঙ্গে বিয়ে দেয়। তাদের কোল জুরে আসে একটি কন্যা সন্তান ছালেহা(২)। বাবার বাড়ী থেকে যৌতুক হিসেবে দিয়েছে এক খন্ড জমি, নির্মান করে দিয়েছে ইটের পাকা বাড়ী। তাতেও আশা পুরন হয়নি স্বামী শ্বশুর শাশুড়ি হাজেরাকে। প্রায়ই বিভিন্ন অজুহাতে তার উপর চলত শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন।
ওই গৃহবধুকে হত্যার পর শনিবার ভোর ৪টায় তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন চিৎকার দিয়ে বলেন ফরিদা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। প্রতিবেশিরা তাদের চিৎকার শুনে বাড়ীর ভিতরে গিয়ে দেখতে পায় ওই গৃহবধূকে মৃত অবস্থায় ঘরের ভিতর খাটের উপর শুয়ে লেপ দিয়ে ঢেকে রেখেছে। এ নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হলে মৃত গৃহবধুর স্বামী সোহেল পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি ক্ষেতলাল থানায় জানালে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠায় এবং ঘটনাস্থল থেকে তার শ্বশুর আঃ গফুর ও শাশুড়ী হাজেরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ বিষয়ে ওই গৃহবধুর বাবা মোফাজ্জল মন্ডল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিরেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছি, ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃত গৃহবধূর শুশুড় শাশুড়ীকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ময়না তদন্ত রির্পোট আসার পর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।
মিজানুর রহমান।
কোন মন্তব্য নেই