সরকারি ভাবে সারের সংকট নেই। তবুও কিছু কিছু বাজারে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরী করেছে স্থানীয় সার বিক্রেতারা। সার না পেয়ে শীতকালীন ফসল রবিশষ্যে চা...
সরকারি ভাবে সারের সংকট নেই। তবুও কিছু কিছু বাজারে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরী করেছে স্থানীয় সার বিক্রেতারা। সার না পেয়ে শীতকালীন ফসল রবিশষ্যে চাষাবাদ নিয়ে চিন্তিত এলাকার কৃষকেরা। সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যে সার বিক্রেতাদের কাছে সার নিতে গেলে অনেক সময় মিলছেনা সার। চলতি মৌসুমে শাক-সবজি, আলু, শষ্যেসহ শীতকালীন সব রকমের ফসল নিয়ে অনেকটায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। এছাড়াও কিছু সার বিক্রেতার বিরুদ্ধে দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। যদিও সার বিক্রেতারা বলছেন, ন্যায্য মূল্যে সার বিক্রি করা হচ্ছে।.
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউপি’র সোনাকুল গ্রামের কৃষক আকবর হোসেন বলেন, শালাইপুর বাজারের সারের ডিলার বেলাল হোসেনের কাছে টিএসপি সার এক বস্তা নিতে গেলে জোরপূর্বক দলা ধরা এক বস্তা নিন্ম মানের ইউরিয়া সার দিচ্ছেন। যা আলুর জমিতে দিলে কোন কাজেই আসবেনা। এছাড়াও এমওপি (পটাশ) সার নিতে গেলে ১শ টাকার জিপ সার ২৫০ টাকা দামে জোরপূর্বক কৃষকে নিতে বাধ্য করছে এই সারের ডিলার।.
একই অভিযোগ করে এলাকার একাধিক কৃষক বলেন, শালাইপুর বাজারের বেলালের সারের দোকানে সার নিতে গেলে প্রতি বস্তা জিপ সার ৩শ টাকা নিয়েছে। যার বাজারে সবোর্চ্চ মূল্য ১২০ থেকে ১৫০ টাকা প্রতি বস্তা।
একই এলাকার দন্ত চিকিৎসক তাপস বলেন, এ বছর আলু চাষাবাদে ইচ্ছুক। তবে এখন পর্যন্ত সার না পাওয়ায় দুশ্চিন্তাই আছি। কৃষকের এসব অভিযোগের বিষয়ে শালাইপুর বাজারের সারের ডিলার বেলাল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আওলাই ইউপি’র গোড়না গ্রামের কৃষক আবু রায়হান বলেন, বেশি দামেও মিলছেনা সার। তাই এখন পর্যন্ত আলু চাষাবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। স্থানীয় সারের সাব-ডিলারদের কাছে এক বস্তা টিএসপি সার নিতে ১৪শ টাকা ও এক বস্তা পটাশ সারের দাম চায় ১ হাজার টাকা।
উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউপি’র আমিরপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক আহসান হাবীব বলেন, কয়েকদিন আগে ভোর রাতে বাড়ির পাশে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার পথে ৪/৫ টি অটোভ্যানে সার ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে। এসময় অটোভ্যানের চালকদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, মোহাম্মদপুর ইউপির নন্দিগ্রাম বাজার থেকে সার নিয়ে কুসুম্বা ইউপি’র শালাইপুর বাজারে নিয়ে যাচ্ছে। তবে কার দোকানে নিয়ে যাচ্ছে, সেটি বলেনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.লুৎফর রহমান বলেন, উপজেলায় সারের কোন সংকট নেই। তাছাড়া ন্যায্য মূল্যে কৃষকেরা যেন সার পায় একারনে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও তদারকি করা হচ্ছে। যদি কোন ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়। তাহলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। তিনি আরো বলেন, এবছর উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নিধার্রন করা হয়েছে।
আল কারিয়া চৌধুরী।
কোন মন্তব্য নেই